নিউজ ডেস্ক : আলোচিত ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পু’ড়িয়ে হ’ত্যা মা’মলায় ১৬ আ’সামিকে ফাঁ’সির আ’দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনালের বি’চারক মো. মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশি বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলো নুসরাত হ’ত্যা মা’মলার রায় নিয়ে গু’রুত্ব সহকারে সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ মাধ্যমগুলো যার যার আ’ঙ্গিকে সংবাদ প্রকাশ করে। পাশাপাশি সরব স্যোশাল মিডিয়াও। এরই মধ্যে শেষ মুহূর্তে পানি খেতে চেয়ে নুসরাতে কাতর আকুতির একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ার ফেসবুকের এক পেইজ থেকে বিভিন্ন পেইজে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
ভিডিওতে দেখা যায় নুসরাতের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই গভীরভাবে দগ্ধ হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে পানি দিতে নি’ষেধ করেছিলেন। নুসরাত পানি খাওয়ার করুণ আকুতি জানায়। তখন তিনি ঠাণ্ডা পানি খেতে চান। তার পানি চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককে আবেগে আপ্লুত করে।
ফেনীর সোনাগাজীতে এক দল হিংস্র মানুষের সঙ্গে নুসরাতের ল’ড়াই শেষ হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে এসে। পাঁচ দিন মৃ’ত্যুর স’ঙ্গে লড়ে শেষ পর্যন্ত ১০ এপ্রিল হার মানে ফেনীর সোনাগাজীর অ’গ্নিদ’গ্ধ মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাতকে গত ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরেই তিন তলা ভবনের ছাদে নিয়ে শরীরে আ’গুন দিয়ে হ’ত্যার চে’ষ্টা করে দু’র্বৃত্তরা। চারজন বোরকা পরে এ হ’ত্যাচে’ষ্টায় অংশ নেয় বলে নুসরাত জানায়।
এর আগে ২৭ মার্চ ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তার নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শ্লী’লতাহা’নি করে বলে অ’ভিযো’গ ওঠে। ওই ঘটনায় থানায় মা’মলা করলে গ্রে’ফতার হয় অধ্যক্ষ।