ফেনী: ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় করোনায় কিংবা উপসর্গ নিয়ে মা'রা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফ'ন-কা'ফনে নেতৃত্ব দেয়া ইয়াছিন শরিফ মজুমদার (৩৫) করোনায় আক্রা'ন্ত হয়েছেন। রোববার (২৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেই করোনায় আক্রা'ন্ত হওয়ার তথ্য জানান ইয়াছিন। জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দিলে ২২ জুলাই ইয়াছিন শরিফের নমুনা সংগ্রহ করে নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়। রোববার দুপুরে পাওয়া ফলাফলে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
দেশে সং'ক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে করোনায় কোনো ব্যক্তি মা'রা গেলে দা'ফন-কা'ফনে এগিয়ে এসেছিলেন ইয়াছিন শরিফ। তিনি উপজেলায় ১১ সদস্যের একটি দা'ফন-কা'ফন টিম গঠন করেন। তারপর থেকে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় করোনা ও করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃ'ত ব্যক্তিদের দা'ফন দেয়া শুরু করে তার দল। পরশুরামে পৈতৃক বাড়ির এলাকায় এমন অনেকে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনায় সং'ক্রমিত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মা'রা গেছেন। তাদেরও এলাকায় ক'বর দেয়ার দায়িত্ব পালন করেন ইয়াছিন শরিফ। ইতোমধ্যে তিনি ও তার দল প্রায় ৩০ জনকে দা'ফন করেছেন।
দা'ফনের বাইরে ইয়াছিন শরিফ নিজ উদ্যোগে চলতি মাসের মাঝামাঝি ‘হ্যালো অক্সিজেন’ নাম দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় করোনা রোগীদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়ার সেবা কার্যক্রম শুরু করেন।
ইয়াছিন শরিফ মজুমদার পরশুরাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি; বিআরডিবির অধীন পরশুরাম কেন্দ্রীয় কৃষক সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। ইয়াছিন শরিফ বলেন, করোনা পরীক্ষা জন্য নমুনা দেয়ার পর থেকে হোম আইসোলেশনে রয়েছি। বর্তমানে শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা চলছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল খালেক মামুন বলেন, পরশুরামে ইয়াছিন শরিফসহ এ পর্যন্ত ৭৬ জনের করোনা শনা'ক্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুইজন মা'রা গেছেন। আর উপসর্গ নিয়ে মা'রা গেছেন সাত-আটজন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪৪ জন। বর্তমানে ৩০ জন নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরশুরাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইয়াছিন শরিফের চাচা কামাল উদ্দিন মজুমদার বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে ইয়াছিন শরিফের চিকিৎসা চলছে। ভাতিজার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।