ফেনী : আগামী ৭ মে চতুর্থ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে জয়ী করতে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন ফেনীর ছাগলানইয়া উপজেলার চেয়ারম্যান, এক সময়ের জয়নাল হাজারীর স্টেয়ারিং কমিটির সেকেন্ড-ইন কমান্ড ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল।
প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, কেউ আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপক্ষে গেলে তাকে গুলি করে পায়ের নিচে লাশ ফেলে দেব। যদি সে আওয়ামী লীগেরও হয় তাকেও গুলি করবো। যদি ছাত্রলীগ-যুবলীগের কেউ হয় তাকেও গুলি করা হবে।
ছাগলনাইয়ায় ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতাকর্মীদের গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের প্রকাশ্য সভায় এমন বক্তব্যে নির্বাচনী এলাকায় ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্যের অডিও রেকর্ডসহ ফেনী প্রশাসনের কাছে কয়েকজন প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।
আগামী ৭ মে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
স্থানীয়রা জানান, ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউপির মুহুরীগঞ্জ বন্ধন ক্লাবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হক মানিকের পক্ষে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বলেন, ঘোপাল ইউনিয়নে কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী থাকতে পারবে না। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগের কোনো কর্মী বিদ্রোহীদের পক্ষে গেলে তাদের চামড়া থাকবে না।
এ সময় তিনি বিদ্রোহীদের গুলি করার নির্দেশ দেন। তিনি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ৭ তারিখের পরও আওয়ামী লীগ সরকার থাকবে, ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম হাজারী থাকবে। কেউ তখন আর পার পাবেন না।
এ ব্যাপারে ছাগলনাইয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিল্পী রানীর সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্যের অডিও রেকর্ড শুনেছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ছাগলনাইয়া ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাইনুল হকও অডিও রেকর্ড শুনেছেন বলে জানান।
৩০ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম