ফরিদ পুর: কন্যা শিশু জন্মের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে একটি কার্টনের মধ্যে ভরে সারারাত গোরস্থানের একটি কক্ষে রাখা হয়। সকালে দাফনের পূর্ব মুহূর্তে ইমাম দেখতে চান মুখটি কেবলামুখী রয়েছে কিনা। কার্টন খোলার পর মাওলানা কাজী আব্দুর রব দেখেন শিশুটি নড়ছে। বৃহস্পতিবার ফরিদপুর শহরে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে শহরের বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে ওই শিশুটি জন্ম নেয়। জন্মের পর শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন ডা. রিজিয়া আলম।
শহরের কমলাপুরের বাসিন্দা ফরিদপুর জেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. আবুল কালাম জানান, তার পুত্রবধূ অ্যাডভোকেট নাজনীন আক্তারের (২৩) প্রসব বেদনা ওঠায় বুধবার রাতে প্রথমে তাকে শহরের আরোগ্য সদনে ও পরে রাত ১১টার দিকে শিশু হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে সিট না থাকায় তাকে দেখতে চাননি চিকিৎসক। এরপর হাসপাতালের ডক্টরস রুমের বেডেই রাত আড়াইটার দিকে শিশুটি ভূমিষ্ট হয়। এরপর ডা. রিজিয়া আলম শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে একটি কার্টন এনে নিয়ে যেতে বলেন। কথামতো তিনি একটি কার্টন এনে নাতিকে নিয়ে শহরের আলিপুর কবরস্থানে যান। সেখানে তখন দাফনের ব্যবস্থা না হওয়ায় সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করলে তাকে জীবিত পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে ডা. রিজিয়া আলম বলেন, ‘জন্মের পর বাচ্চাটি কান্নাকাটি করে নাই। পালসও পাই নাই। এজন্য বলেছিলাম বাচ্চাটিকে নিয়ে যান।’ এটি একটি অলৌকিক ব্যাপার বলে মন্তব্য করেন ডা. রিজিয়া।
হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি সদস্য সালাউদ্দিন ফরিদ বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা জরুরী সভা করে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব। এক্ষেত্রে কোনও অবহেলার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, সকালে ওই হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, নার্সরা ব্যস্ত শিশুটিকে নিয়ে। তারা শিশুটিকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তবে সারারাত কার্টনে বদ্ধ শিশুটিকে কোনও ইনসেনটিভ কেয়ারে রাখা ছিল না। একটি সাধারণ বেডের ওপর শিশুটির চিকিৎসা চলছে।-বাংলা ট্রিবিউন
২২ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর