ফরিদপুর: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার রাতের এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার সংঘর্ষে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশে যানজট লেগে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। ভাঙ্গা থানা পুলিশ ১৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকা ও থানা সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে পূর্বসদরদী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নিক্সন চৌধুরীর নির্বাচনী জনসভা ছিল। মঞ্চে ওঠা নিয়ে পূর্ব সদরদী গ্রামের দুই সমর্থক ফরহাদ শিকদার ও ফরহাদ মাতুব্বরের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে নিক্সন চৌধুরীর সাতজন সমর্থক আহত হন।
আহতদের কয়েকজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন- ফরহাদ শিকদার (৪৫), বাবলু শিকদার (৬০), আবদুর রব ব্যাপারী (৭০), জামাল ব্যাপারী (৪৫), রঘু শেখ (৩৫), আউয়াল ব্যাপারী (৬০) ও রবিউল শেখ (৩৮)। তাদেরকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
নিজ পক্ষের আহতদের দেখতে হাসপাতাল এলাকায় ভিড় করে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা। এ সময় হাসপাতাল চত্বরে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েক নেতাকর্মীকে (জাফরউল্লাহ) পেয়ে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থকরা গালিগালি করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাত ৯টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন ঢাল-সড়কি-রামদা নিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আরও অন্তত আটজন আহত হন।
পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ওসির মধ্যস্থতায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী সাইদুল ইসলাম জানান, অন্ধকার রাতে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দু’দলের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ থামাতে ১৩ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এলাকায় পুলিশি টহল দিচ্ছে।