ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের গঙ্গানন্দপুর গ্রামে বিয়ের দুই মাসের মাথায় এক তরুণীর (২০) ৭ মাসের অন্তঃস্বত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ওই তরুণীর বাবা জানিয়েছেন, দুই মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে হয় বড়গাঁ গ্রামে। বিয়ের দুই মাস পর তার স্বামী জানতে পারে স্ত্রীর পেটে ৭ মাসের সন্তান রয়েছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই তাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে সে জানায় বিয়ের আগে তার একটি ছেলের সাথে সম্পর্ক ছিল। তার নাম মিটুল শেখ (২৪)। সে বাড়ি আলফাডাঙ্গা পৌরসভার হিদাডাঙ্গা গ্রামে মো. আক্কাচ শেখের ছেলে। সেই সম্পর্কের জের ধরে সে গর্ভবতী হয়। পরিবারের লোকজন ছেলেটির ঠিকানা নিয়ে তার পরিবারের কাছে সব কিছু খুলে বলে।
জানা গেছে, পরে উভয়পক্ষের অভিভাবকরা শেখর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যার নিকট আসেন। তাৎক্ষণিক বৈঠক বসিয়ে তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কাজী শফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি সহস্রাইলে বিয়ে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইস্রাফিল মোল্যা ও ছেলে-মেয়ের অভিভাবকরা আমার বাড়িতে এসে আমাকে দিয়ে বিয়ে পড়িয়েছে।
মো. ইস্রাফিল মোল্যা বলেন, ছেলে স্বীকার করেছে ওই তরুণীর পেটে তার সন্তান। তাই উভয়পক্ষের অভিভাবকরা আমার কাছে এসে বিয়ের কথা বলেছে এবং তাদের সম্মতিক্রমেই বিয়ে দিয়েছি। বর্তমানে ওই মেয়ে মিটুল শেখের (স্বামী) বাড়িতেই আছে।বিডি প্রতিদিন