ফরিদপুর: ফরিদপুর শহরতলীর তালতলা এলাকা থেকে উদ্ধা'র হওয়া ম'রদে'হ আকলিমা আক্তার সোনিয়ার (৩০)। অবশেষে সোনিয়া হ'ত্যাকা'ণ্ডের র'হস্য উদঘা'টন করেছে র্যাব-৮। হ'ত্যার আগে সোনিয়াকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে গ'ণধ'র্ষণ করা হয়। এরপর হ'ত্যা করে রাত ১১টার দিকে তালতলা এলাকায় তার ম'রদে'হ ফেলে পালিয়ে যায় হ'ত্যাকা'রীরা।
হ'ত্যাকা'ণ্ডের সঙ্গে জড়িত রাসেল দেওয়ান নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় গ'ণধর্ষ'ণ ও হ'ত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটিও জ'ব্দ করা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানায় র্যাব-৮ ফরিদপুরের স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার। তিনি বলেন, সোনিয়ার ম'রদে'হ উদ্ধা'র হওয়ার পরই ঘটনাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব।
তদন্তের একপর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। রাসেল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। রাসেলের বাড়ি রাজবাড়ীর কালুখালী এলাকার পশ্চিম রতনদিয়া গ্রামে।
রাসেলের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, সোনিয়ার সাবেক স্বামীর সঙ্গে যো'গসা'জশে তাকে হ'ত্যা করার পরিকল্পনা করে বর্তমান প্রেমিক। সেই মোতাবেক ১৯ সেপ্টেম্বর সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে তার প্রেমিক। দেখা করে একটি মাইক্রোবাসে তু'লে নেয় তাকে। প্রথমে তার প্রেমিক তাকে ধ'র্ষণ করে। এ সময় সাবেক স্বামী মাইক্রোবাসের ভেতর লু'কিয়ে দেখছিল। ধ'র্ষণ শেষে বের হয়ে স্বামী ধ'র্ষণ করে। এ সময় সোনিয়া চিৎ'কার দেয়। তখন শহরের অম্বিকাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে মাইক্রোচালক রাসেলের সহায়তায়, প্রেমিক ও সাবেক স্বামী ছু'রি দিয়ে মাথার পেছনে কো'প দিয়ে হ'ত্যা করে সোনিয়াকে।
হ'ত্যা শেষে ম'রদে'হ গাড়িতে নিয়েই তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে। রাত ১১টার দিকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় সোনিয়ার ম'রদে'হ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। বাকি দুই আসামিকে গ্রেফতারের স্বার্থে প্রেমিক ও স্বামীর নাম-পরিচয় গোপন রেখেছে র্যাব। তাদের গ্রেফতারের পর বিষয়টি জানানো হবে।