ফরিদপুর: ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বিকাশ প্রতারণা চক্রের মূল হোতা রুবেল মাতুব্বরকে (৩০) আটক করেছে র্যাব-৮। শুক্রবার ভোররাতে উপজেলার মিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে সাতটি মোবাইল সেট, ৫২টি সিমকার্ড ও ১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আটক রুবেল মাতুব্বর ভাঙ্গা উপজেলার মিয়াপাড়া গ্রামের মো. দেলোয়ার মাতুব্বরের ছেলে।
র্যাব জানায়, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় শুক্রবার ভোররাতে ভাঙ্গা উপজেলার মিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা চক্রের মূল হোতা মো. রুবেল মাতুব্বরকে আটক করা হয়। এ সময় বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল সেট, ৫২টি সিমকার্ড ও ১৬ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৮ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক রুবেল মাতুব্বর বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, বিকাশ প্রতারক চক্রের মূল হোতা রুবেল মাতুব্বর মোবাইল সিম বিক্রেতার সঙ্গে যোগসাজস করে ভুয়া নামে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করেন। উক্ত সিমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআরদের (বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এজেন্ট) মাধ্যমে ভুয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলেন। প্রতারক চক্রের সদস্যরা ডিএসআরদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করেন।
এরপর ওইসব ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল মানুষের কাছে নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করেন এবং কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেন। আটক রুবেল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানান মেজর আব্দুল্লাহ আল মঈন।