ফরিদপুর: ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর জনসংঘ উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন মা'রা গেল তন্বী আক্তার নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী।
তন্বী আক্তার আকোটেরচর ইউনিয়নের নতুন ছলেনামা গ্রামের মো. শাহজাহান মৃধা ও ফরিদা বেগমের মেয়ে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় তন্বী। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে এ মর্মা'ন্তিক মৃ'ত্যুর ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুলের কুচকাওয়াজ সমাবেশ শেষ করে ক্লাসে প্রবেশ করে স্কুলছাত্রী তন্বী। ক্লাস শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ অসু'স্থ হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে সহপাঠীরা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যান তন্বীকে। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাম্মাদ ওমর ফয়সাল তাকে মৃ'ত ঘোষণা করেন।
তন্বীর সহপাঠী তাছলিমা আক্তার জানায়, আমার পাশেই বসেছিল তন্বী। হঠাৎ অসু'স্থ হয়ে আমার শরীরের ওপর ঢ'লে পড়ে সে। পরে আমি ও অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উঠাতে চেষ্টা করি। কিন্তু তাকে উঠাতে পারিনি আমরা। ক্লাসেই তার মৃ'ত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ খান বলেন, তন্বী অ'সুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু মেয়েটিকে বাঁ'চাতে পারলাম না।
সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ওমর ফয়সাল বলেন, হৃদরো'গে আ'ক্রা'ন্ত হয়ে তন্বী মা'রা গেছে। তন্বীকে যখন হাসপাতালে আনা হয় তখন মৃ'ত ছিল। মূলত মৃ'ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
খবর পেয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূরবী গোলদার হাসপাতালে ছু'টে যান। সেখানে গিয়ে তিনি তন্বীর শো'কাহ'ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং শিক্ষার্থীর অকাল মৃ'ত্যুতে সমবেদনা জানান।
সদরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, ম'রদে'হের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন করা হয়েছে। বাবা-মায়ের কোনো অভিযোগ না থাকায় তন্বীর ম'রদে'হ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল বলেন, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে ছু'টে যাই। শিক্ষার্থীর অকাল মৃত্যু'তে আমরা গভীরভাবে শো'কাহ'ত। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদার বলেন, তন্বীর পরিবার অত্যন্ত সহজ-সরল এবং দরিদ্র। পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তন্বীর অকাল মৃ'ত্যুতে বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন ও সহপাঠীদের আ'হাজারিতে হাসপাতাল চত্বর এলাকা ভারী হয়ে ওঠে। মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে কাঁ'দছেন তন্বীর মা।