 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক: ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে মো. নুরুল আলম নামে ইউপি এক সদস্য লাপাত্তা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সম্পর্কে তারা চাচি-ভাতিজা হলেও পরকী'য়া প্রেমের টানে পালিয়ে গেছেন বলে দাবি ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের।
এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম বুধবার (৮ জুন) দুপুরে সালথা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের গোলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে গোলপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে প্রতিবেশী ইউপি সদস্য নুরুল আলমের যাতায়াত ছিল। এর জেরেই জাহিদুলের স্ত্রীর সঙ্গে নুরুলের পর'কীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মঙ্গলবার রাতে তারা সবার অগোচরে পালিয়ে যান।
এসময় ওই গৃহবধূ ঘরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছেন বলেও অভিযোগ করেন জাহিদুলের পরিবার।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার স্ত্রী মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয়। টয়লেট থেকে আসতে দেরি হওয়ায় আমি খুঁজতে থাকি। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আমার স্ত্রী টয়লেটে নেই। পরে পরিবারের সবাই মিলে বাড়ির আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও তাকে পাইনি। পরে জানতে পারি, আমার প্রতিবেশী সম্পর্কে ভাতিজা ও স্থানীয় ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আলমের হাত ধরে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নুরুল আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার বাড়িতে খোঁজ নিলে তিনি সেখানে নেই বলে পরিবারের লোকজন জানান।
তবে ওই ইউপি সদস্যের চাচা মো. আবু বক্কার মোল্লা বলেন, নুরুল আলম বাড়িতে নেই। সে বাড়ির পাশের একজনের বউ নিয়ে পালিয়েছে। তার সঙ্গে আমাদের আপাতত কারও যোগাযোগ নেই।
জানতে চাইলে মাঝারদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আহমেদ বলেন, নুরুল আলম ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। তিনি অবিবাহিত। ঘটনা লোকমুখে শুনেছি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। মোবাইল নম্বর বন্ধ। জানামতে তিনি বাড়িতেও নেই।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন, ওই গৃহবধূর স্বামী জাহিদুল ইসলাম থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।