এমটি নিউজ২৪ ডেস্ক : বিয়ে হয়েছে এক মাস আগেই। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা। খাওয়ার অনুষ্ঠানিকতা শেষে দেনা-পাওনা নিয়ে বর ও কনে পক্ষের মধ্যে শুরু হয় হট্টগোল। শেষ হয় বিবাহ বিচ্ছেদে।
এর পর কনের পক্ষ থেকে বরকে দেওয়া আংটি ফেরত দেওয়া নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। এতে আহত হন বরসহ পাঁচ জন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেল ৫টায় ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি ইউনিয়নের হিয়াবলদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরকান্দা থানার ওসি হাবিল হোসেন।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১২ জুলাই হিয়াবলদি গ্রামের এক কুয়েত প্রবাসীর মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় লস্করদিয়া ইউনিয়নের দাদপুর গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে এনজিও কর্মী শাহজাহান শেখের। বিয়ের এক মাসের মাথায় দুই পরিবারের সম্মতিতে কনের বাড়িতে শুক্রবার (১২ আগস্ট) বরযাত্রী খাওয়ানোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে বর পক্ষের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক মেটাতে না পারায় বাগ বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষ। শেষ হয় বিবাহ বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে।
কনের মা বলেন, বিবাহের পর যৌতুক হিসেবে ছেলে পক্ষ আমাদের কাছে চার লাখ টাকা দাবি করে। আমরা টাকা দিতে দেরি করলে তারা আমাদের বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে। পাশাপশি আমার মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে।
আমি তাদের বুঝিয়ে সময় চাই। পরে দুই পরিবারের পরামর্শ অনুযায়ী শুক্রবার অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হয়। অনুষ্ঠানে তাদের প্রায় ৫০ জন লোক বরযাত্রীতে আসে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারা মেয়ে না নিতে অস্বীকৃতি জানায় ও তাদের পাওনার জন্য চাপ দেয়।
আমরা একটু সময় চাইতেই তারা খারাপ আচরণ শুরু করলে বাধে বাকবিতণ্ডা। ওই আসরেই দুই পরিবারের সমোঝতায় বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়েছে।
বর শাহজাহান শেখ বলেন, আমার বউয়ের অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমি বিষয়টি জেনে যাওয়ায় আমার সঙ্গে তার ঝগড়া বাধে। তারা বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আমার সব জিনিসপত্র রেখে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা আমাকেসহ আমার সাথের লোকদের পিটিয়ে আহত করেছে।
ফুলসুতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমাকে কেউ এখনো জানায়নি। তবে বিয়ে বাড়িতে এমন ঘটনা লজ্জাজনক।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। শুক্রবার তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষে দুই পক্ষের লোকজনের বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষ বাধে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দুই পক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেয়। তবে এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।