এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : সালথায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে টানা ১৫ ঘণ্টা অবস্থান নিয়েও দাবি পূরণ করতে পারেনি দুই সন্তানের জননী এক নারী।
এ সময় প্রেমিক তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন বলেও হুমকি দেন তিনি। শুক্রবার সকালে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউপির কাগদী স্বজনকান্দা গ্রামে প্রেমিক হাফিজুর মোল্যার বাড়িতে অবস্থান নেন ওই নারী।
তবে দিনভর সেখানে অবস্থান নেওয়ার পর রাত ১০টার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেন পুলিশ। অভিযুক্ত প্রেমিক হাফিজুর কাগদী স্বজনকান্দা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। আর ওই নারীর বাড়ি একই গ্রামে।
বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেওয়া নারী অভিযোগ করে বলেন, দুই সন্তানের জনক হাফিজুরের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছে। এরমধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করেন হাফিজুর।
গত বৃহস্পতিবার রাতে হাফিজুর আমার সঙ্গে দেখা করে তার বাড়িতে যেতে বলেন। কিন্তু শুক্রবার সকালে আমি হাফিজুরের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করে।
তিনি আরও বলেন, হাফিজুরের জন্য আমার ঘর-সংসার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন তিনি আমাকে বিয়ে না করলে আমার মরা ছাড়া গতি নাই। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।
শনিবার সকালে ওই নারীর ভাই বলেন, বিয়ের দাবিতে আমার বোন তার প্রেমিক হাফিজুরের বাড়িতে শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত অবস্থান নেয়। পরে পুলিশ এসে আমার বোনকে উদ্ধার করে আমাদের বাড়িতে দিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হাফিজুরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার মা বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে ওই নারীর কোনো সম্পর্ক নাই। ওই নারীকে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান তিনি।
হাফিজুরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী ওই নারীর সঙ্গে প্রেম করায় গত ৪ মাস আগে দুই সন্তান নিয়ে আমি বাবার বাড়িতে চলে যাই। এরপর গত বুধবার আমি স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসি। আমি আসার পর শুক্রবার ওই নারী আমাদের বাড়িতে এসে অবস্থান নেয়।
সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, তারা দুইজনই প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষ। তাদের দুইজনের ইচ্ছাতেই সবকিছু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই নারীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে দিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।