নিউজ ডেস্ক: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক থাকা মুফতি আব্দুল হান্নান ও তার সহকারী শরীফ শাহেদুল বিপুলকে ফাঁসির রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজের রায়ের কপি পড়ে শোনানো হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেল সুপার মিজানুর রহমান তাদের রায়ের কপি পড়ে শোনান। এসময় তারা জানান, প্রাণ ভিক্ষার জন্য সময় চেয়ে তারা আবেদন করবেন।
জেল সুপার মিজানুর রহমান একথা জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসির রায়ের রিভিউ খারিজের রায়ের অনুলিপি কাশিমপুর কারাগারে পৌঁছায়। আজ তা দুই আসামিকে পড়ে শোনানো হলো। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুল কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার এবং তৃতীয় আসামি দেলোয়ার হোসেন রিপন সিলেট জেলা কারাগারে রয়েছে।
রবিবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তিন জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ আদালতের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন (রিভিউ) খারিজ করে দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর ফলে যেকোনও সময় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে।
এর আগে আসামিরা চাইলে নিজেদের দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ হলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরে আর কোনও বাধা থাকবে না।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হলে ওই ঘটনায় তিন জন নিহত হন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, বিপুল ও রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
আপিলের শুনানি শেষে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর আসামিদের আপিল খারিজ হয়ে যায়। গত ১৭ জানুয়ারি এ রায় প্রকাশের পর আসামিরা পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। এবার এ রায়ও খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
২২ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস