এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি: চলমান জেএসসি পরীক্ষায় নিজের মেয়েকে মুঠোফোনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে সহযোগিতার অভিযোগে প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাকছুদুল ইসলামের নির্দেশে আটক করেছে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। ১৪ নভেম্বর মঙ্গলবার পরীক্ষা শুরুর আগে উপজেলার আমরাইদ কারিগরী কলেজ কেন্দ্র (ভ্যানু) থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার গতকাল মঙ্গলবার ছিল কৃষি শিক্ষা পরীক্ষা। বীর উজলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের মুঠোফোনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষিশিক্ষা প্রশ্নপত্র পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়।
উপজেলার ১৬টি মাধ্যমিক স্কুল নিয়ে ‘ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় হাইলজোর’ এ পরীক্ষার মূল কেন্দ্র । আমরাইদ কারিগরী কলেজ ও ভুলেশ^র হাফিজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ভ্যানু কেন্দ্র। আমরাইদ কারিগরী কলেজ ভ্যানু কেন্দ্র থেকে ওই প্রধান শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ বছর নিজাম উদ্দিনের মেয়ে ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে।
ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় হাইলজোর এর প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শহীদুল্লাহ আজাদ জানান, ওই শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির কোনো সদস্য নয় তবে পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে তাঁর মোবাইল চেক করে প্রশ্ন পাওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাকছুদুল ইসলাম জানান, বীরউজলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে যাচাই শেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বীরউজলী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের শিক্ষক প্রতিনিধি কামাল হোসেন জানান, সে এলাকায় নেই, তবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে শিক্ষক আটক হয়েছে বলে শুনেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম এ জলিল জানান, তিনি ঢাকায় আছেন, ঘটনা শুনেছেন। তবে শিক্ষকের মোবাইলে যে প্রশ্ন পাওয়া গেছে তা অন্য প্রশ্ন বলে তিনি জেনেছেন।
কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই মাহমুদা জানান, একজন শিক্ষক আটক রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রকিব হাসান জানান, প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিনের মোবাইলে প্রশ্নপত্র পাওয়ার অভিযোগে থানায় আটক রয়েছে।
এছাড়া গত রবিবার জেএসসি গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দায়ে কাপাসিয়া হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে থেকে ২ কলেজ ছাত্রীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২টি ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৭ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, আমি ঘটনা শুনেছি। জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস