নিউজ ডেস্ক : বিশ্ব ম'হামা'রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত লাখ লাখ মানুষ। মৃ'ত্যু প্রায় ২ লাখ ৭৬ হাজার মানুষের। আর এ অবস্থায় বাংলাদেশে দুই মাসে আক্রা'ন্ত ১৫ হাজার ৬৯১ জনের।
আক্রা'ন্ত ও মৃ'ত্যুর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বাডলেও রাজধানীর অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় আক্রা'ন্তের সবাই এখন সুস্থ হয়ে উঠছেন। এ উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭০ জন করোনায় আক্রা'ন্ত হন। এরমধ্যে একজনের মৃ'ত্যু হলেও বাকি ৬৯ জনই এখন সুস্থ।
সোমবার কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কাপাসিয়ায় হঠাৎ হু' হু' করে বাড়তে থাকে করোনাভাইরাস আক্রা'ন্তের সংখ্যা। এরমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছে। আর এতে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এ বিষয়টি। এমনকি আমি নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্ত হই বলে জানান তিনি। তবে এ সফলতার জন্য কাপাসিয়ার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির অবদান সবচেয়ে বেশি বলে জানান তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সন্দেহে ২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। নমুনা পরীক্ষার পর রবিবার রাতে ওই ২৮ জনের মধ্যে একজনেরও পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি।
কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৭৯৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে ৭০ জন পজেটিভ হয়েছিল।
এদিকে, আক্রা'ন্ত সংখ্যা লা'ফিয়ে বেড়ে যাওয়ায় নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। আর এর ফলস্বরূপ এখন সকলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
গত ১০ এপ্রিল কাপাসিয়া উপজেলার দস্যুনারায়নপুর এলাকার ছোঁয়া এগ্রো লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক প্রথম করোনা রোগী শনা'ক্ত হয়। এরপর ওই কারখানার ভিতরে ১০০ শ্রমিকসহ লকডাউন করে দেয়া হয়। ওই কারখানার অন্য শ্রমিকরা বাড়ি চলে যায়। এরপর বাড়ি যাওয়া শ্রমিকরা অসুস্থ হলে তথ্য গোপন করে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়। আর এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী আক্রা'ন্ত হতে থাকে।
ফলে উপজেলা প্রশাসন পুরো কাপাসিয়া লকডাউন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে কাপাসিয়ায় বেড়েই চলছিল করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যা। এর ফলে কাপাসিয়া উপজেলা সদর বাজারসহ পাঁচটি বাজার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এতেও আক্রা'ন্ত না কমায় উপজেলার সকল হাট-বাজার, পাড়া মহল্লার দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি উপজেলায় প্রবেশ সকল পথ বন্ধ করে দেয়া হয়।
এপ্রিলের শেষের দিকে এ উপজেলায় আক্রা'ন্তের সংখ্যা একেবারেই শূন্যের কোঠায় নেমে আসে। গত দেড় সপ্তাহ যাবৎ এ উপজেলায় আক্রা'ন্ত সংখ্যা শূন্য।
গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের এমপি বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে নয়, একজন মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। আর এই বোধ থেকেই আমি কাপাসিয়া উপজেলার মানুষের কাজ করে যাচ্ছি এবং যাবো। কাপাসিয়ায় যখনই করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। তখন থেকেই উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নার্স স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ প্রসাশনকে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করতে জোর দেই।
তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি কিভাবে আক্রা'ন্তদের সুস্থ করে তোলা যায় এবং আক্রা'ন্ত যেন আর না হয় সে ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকি। আক্রা'ন্তদের জন্য নার্সিং কলেজ, একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। আল্লাহ এখন কাপাসিয়াকে করোনামুক্ত করে দিয়েছেন।