সোহেল তাজ। একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তিনি। মন্ত্রীত্বর মায়া ছেড়ে দেশের বাইরে চলে যান। বেশ ক' বছর বাদে ফিরে আসেন দেশে এক নতুন ইচ্ছে শক্তি নিয়ে। নতুন পরিকল্পনা নিয়ে।
তরুণ, যুবাদের নিয়ে কাজ করতে হলে অদম্য ইচ্ছেশক্তি থাকতে হয় তা বারবার মনে করিয়ে দেন একসময়ের দাপুটে এই রাজনীতিক। টেলিভিশন শোয়ের মাধ্যমে যেমন বদলাচ্ছেন তরুণ যুবাদের মনোভাব, তেমনি নিজের শারীরিক শক্তি, সামর্থ আর শরীরের চর্চার নমুনা দেখিয়ে স্পষ্টই ঘোষণা করছেন বয়স কোনো ব্যাপার না। আসলেই বয়স কোনো ব্যাপার না, এটা মুখের কনো কথা নয়। সোহেল তাজ সে প্রমাণ সকলের সামনে ছুঁড়ে দিয়েছেন। আর সেই ছবি লুফে নিয়েছেন নেটিজেনরা। দুমদাম করে ফেসবুক ইনস্টাগ্রামসহ সকল সোশ্যাল সাইটে শেয়ার দিয়ে একাত্মতা ঘোষণা করছেন।
শরীর কেন বয়সের কাছে হার মানবে এই প্রশ্ন উঠে আসছে সোহেল তাজের চমকে দেওয়া ছবিতে। তবে সোহেল তাজ শর্ত দিয়ে দিয়েছেন 'নো ড্রাগস' অর্থাৎ মাদক নয়। মাদককে না বলো এবং ফিটনেসকে হ্যাঁ।'
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, আরো মজার ঘটনা রয়েছে। কিছু তরুণ প্রাণকে সোহেল তাজ নিজের এই ফিটনেসের রহস্য শেখাবেন। তিনি আবেদন করতে বলেছেন, এর মধ্যে সীমিত সংখ্যক তরুণকে বাছাই করে নেবেন সোহেল তাজ।
সোহেল তাজ গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে ১৯৭০ সালের ৫ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা তাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। ৪ ভাই বোনের মধ্যে তানজিম সবার ছোট। বড় বোনে শারমিন আহমদ রিপি; মেজো বোন বিশিষ্ট লেখিকা ও কলামিস্ট এবং গাজীপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবং ছোট বোন মাহজাবিন আহমদ মিমি।
২০০১ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তখন তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৮ সালে একই আসন থেকে সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান সোহেল তাজ। একই বছরের ৩১ মে মন্ত্রিসভা থেকে ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেন।