এমটিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের মানুষ একটি স্বপ্নের জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। সেই স্বপ্নটি হলো সোনার বাংলাদেশ। সোনার বাংলা আমরা বলে থাকি। সোনার বাংলার অর্থটা কি। এ দেশটি কি সোনা দিয়ে মোড়ানো থাকবে। নাকি এই দেশের সব মানুষের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার থাকবে। সব মানুষের শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন বস্ত্রের অধিকার থাকবে।
রোববার বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে 'তারুণ্যের প্রেরণ আলোচনা এবং তা স্বাস্থ্যসেবার (বিটিএসএস) শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ একথা বলেন।
তিনি বলেন, এই দেশটা আমাদের সবার। বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব আছে। আমি বিশ্বাস করি আমরা যে যে অবস্থায় আছি, সেই অবস্থায় থেকেই দেশের জন্য অবদান রাখতে পারি।
সোহেল তাজ বলেন, দুর্নীতির ক্যানসার আমাদের সমাজের প্রতিটি জায়গায় ছড়িয়ে গেছে। আমাদেরকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং মুক্তিযুদ্ধের ঋণ পরিশোধের লক্ষ্যে আমরা যদি সৎভাবে নিজ দায়িত্ব পালন করি তাহলে সবার প্রচেষ্টায় দেশটা দুর্নীতির ক্যানসারমুক্ত হবে। আমরা এদেশটাকে সুন্দর বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে পারব।
তিনি বলেন, তাজ উদ্দিন আহমেদ নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন একজন সুনাগরিক হিসাবে। তিনি একজন ন্যায়পরায়ণ ও সৎ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি কখনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। তিনি মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। রাজনীতি মানেই হচ্ছে মানুষের সেবা করা।
সোহেল তাজ বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ায় দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করা, ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবসকে’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা এবং জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান, জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা- এই তিনটি দাবি আমি দীর্ঘদিন ধরে জানিয়ে আসছি।
এরশাদুর রহমানের সভাপতিত্বে উক্ত সভার শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় এবং পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করা হয়। উক্ত সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টের সব শহিদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী আহমদসহ জাতীয় চার নেতা, সব শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।
উপস্থিত বক্তারা বঙ্গতাজ তাজ আহমদের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের বর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গতাজপুত্র তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ আরও বলন, ১৯৭১ এর মুক্তিসংগ্রামের নিউক্লিয়াসকে অন্তরে ধারণ করে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গতাজের আদর্শকে অন্তরে ধারণ করে দেশ ও জাতি গঠনে তরুণ নার্সিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
নার্সিং পেশাকে পৃথিবীর সবচেয়ে মহৎ পেশা হিসেবে উল্লেখ করে, গ্র্যাজুয়েট নার্স-কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বঙ্গতাজ স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা (বিটিএসএস) গঠনের উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান।
অতঃপর তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ বঙ্গতাজ স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা (বিটিএসএস) এর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সেইসঙ্গে সংস্থার নিজস্ব পতাকা উত্তোলন এবং সর্বসম্মতিক্রমে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট বিটিএসএস-কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নাম প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সভার সভাপতি এরশাদুর রহমান বঙ্গতাজ স্বাস্থ্যসেবা সংস্থার সাংগঠনিক অভিভাবক ও প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তানজিম আহমেদ সোহেল তাজের নাম ঘোষণা করেন যা সর্বসম্মতি গৃহীত হয়।