মঙ্গলবার, ০৮ মার্চ, ২০১৬, ০৯:২৬:৫৬

ছিলেন উদগ্রীব, কিন্তু পরক্ষণেই নিশ্চুপ মীর কাসেম আলী

ছিলেন উদগ্রীব, কিন্তু পরক্ষণেই নিশ্চুপ মীর কাসেম আলী

গাজীপুর : ফাঁসির কনডেম সেলে যুদ্ধাপরাধীর মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলী।  মৃত্যুদণ্ড বহালের রায় শুনে নিশ্চুপ তিনি।  কিন্তু এর আগে রায় শোনার জন্য উদগ্রীব ছিলেন।  কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।  এ তথ্য জানিয়েছে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।

এরপর দুপুরে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি মীর কাসেম আলী অনানুষ্ঠানিকভাবে রায়ের খবর জানতে পারেন।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট- ২ এর জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, মীর কাসেম আলীর কনডেম সেলে টেলিভিশন কিংবা রেডিও ছিল না। কারাগার এলাকায় কেবল টিভির লাইনে সমস্যা থাকায় কারা কর্মকর্তারা রায়ের কবর বিলম্বে রায় জানতে পারেন।  পরে বেলা ১২টার দিকে তিনি অনানুষ্ঠানিক রায়ের খবর জানেন।

জেল সুপার জানান, রায় শোনার পর মীর কাসেম আলীর মধ্যে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।  স্বাভাবিক রয়েছেন তিনি।  দুপুরে স্বাভাবিক খাবার খেয়েছেন এবং নামাজ পড়েছেন।

রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকতে পারে এমন ধারণাই মীর কাসেম আলীর মনোবল শক্ত ছিল।  সকালে স্বাভাবিকভাবেই নাস্তা খেয়েছেন বলে জানিয়েছে কারাসূত্র।

তবে রায় শোনার জন্য সকাল থেকেই উদগ্রীব ছিলেন মীর কাসেম আলী।  বারবার চেষ্টা করেও বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানতে পারেননি তিনি।
পরে কারা কর্তৃপক্ষ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে অনানুষ্ঠানিকভাবে তাকে অবহিত করেন।

গত ২০১২ সাল থেকে মীর কাসেম আলী কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।  ট্রাইব্যুনালের রায়ের আগ পর্যন্ত তিনি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দির মর্যাদায় ছিলেন। ২০১৪ সালে তার ফাঁসির রায় ঘোষণার পর ডিভিশন বাতিল করে তাকে ফাঁসির কনডেম সেলে স্থানান্তর করা হয়।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে নয়াদিগন্ত কার্যালয় থেকে মীর কাসেম আলীকে গ্রেফতার করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর খালাস চেয়ে মীর কাসেম আলী আপিল করেন।  মঙ্গলবার আপিলের রায়ে তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়।

রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপির পর রায় পর্যালোচনার আবেদন (রিভিউ) করতে ১৫ দিন সময় পাবেন মীর কাসেম আলী।

এ আবেদন খারিজ হলে ফাঁসি কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।  তখন হয়তো মীর কাসেম আলীকে কাশিমপুর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হতে পারে।  কারাসূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
৮ মার্চ,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে