এফ এম কামাল হোসেন, কাপাসিয়া (গাজীপুর) থেকে: গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে লড়াইয়ের মাঠে রয়েছেন ৫৫ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৪১০ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০৯ জন। নির্বাচন অফিস সূত্রে তাদের মনোনয়নপত্র চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচনী মাঠে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তাদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন চূড়ান্ত করলেও উভয় দলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চাপ রয়েছে। বিএনপি দু’এক জায়গায় তড়িগড়ি করে প্রার্থী বাছাইয়ের ফলে আওয়ামীলীগ সেখানে সুবিধা জনক স্থানে থাকলেও শেষ পর্যন্ত তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। আওয়ামীলীগ তাদের ৬ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন। সিংহশ্রী, টোক, কাপাসিয়া সদর, কড়িহাতা সহ বেশ কয়েক জায়গায় আওয়ামীলীগ দলীয় ও তাদের বিদ্রোহীদের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। নির্বাচনী অফিস ও প্রতিক ভাংচুর, কর্মীদের মারধর সহ পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে প্রচারনা শেষ হয়েছে। সন্মানিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ইতোমধ্যে খলিলুর রহমান মোল্লা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৭ই মার্চ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তোড়েজোরে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। সর্বশেষ সময় পর্যন্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএনপির ১১, আওয়ামী লীগের ১১, জাতীয় পার্টির ৭, আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ৫, বিএনপি বিদ্রোহী ৩, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৪ জন, গণতন্ত্রী পার্টি ২, জাসদ ১ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৯। আগামী ২৩শে এপ্রিল উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, কাপাসিয়া উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে বিগত নির্বাচনে ৫ টি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। বর্তমানে তারা সকলেই আবার দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। ফলে গত নির্বাচনে বিজয়ী ৫ জন সহ আরো ৩ টি ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীরা সুবিধা জনক স্থানে রয়েছে বলে বিএনপি দলীয় সূত্র দাবী করে। তাদের মধ্যে ৩টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম দৃশ্যমান ছিল না। তবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ্’র নিজ নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় তিনি দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে হান্নান শাহ্ তাঁর দলীয় একাধিক কর্মী সভায় নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন। তিনি আশংকার কথা বলে দাবী করে বলেছেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ১১ টি ইউনিয়নেই তাদের দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অপর দিকে গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া আসনটি র্দীঘ দিন যাবত আওয়ামীলীগ ধরে রাখার কারণে আওয়ামীলীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিতি পেলেও দলীয় কোন্দলের কারণে ৫টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী এবং দলীয় মনোনয়ন নিয়ে অসন্তোষ থাকায় কিছুটা বেকায়দায় রয়েছে আওয়ামীলীগ। ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন নিতে যারা র্দীঘ দিন মরিয়া হয়ে বহু কাঠ খড় পুড়িয়েছেন, শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার অনেকে মনের দুঃখে ক্ষোভে নিস্কৃয় হয়ে বাঁকা পথে হাঁটছে বলে জানা যায়। দলীয় সূত্র জানায়, স্বাধীণ বালাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি দাবী করেছেন, উপজেলার প্রত্যেকটি গ্রাম পর্যায়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও মজবুত থাকায় ১১ টি ইউনিয়নেই বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদের প্রার্থীরা ১১টি ইউনিয়নেই পোস্টার, লিফলেট, স্টিকারসহ গণসংযোগ করেছেন। একটি উৎসব মূখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনা শেষ হয়েছে।
সিংহশ্রী ইউনিয়ন: ১০টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৮,৩৫৬ জন। বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া মানছুর (ধানের শীষ)। আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম কাঁইয়া (নৌকা), আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান আল আমিন (আনারস), এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী থাকায় বিএনপির প্রার্থীই সুবিধা জনক স্থানে রয়েছে বলে জানা যায়।
রায়েদ ইউনিয়ন: ৯টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৯,৩০৪ জন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আবদুল হাই (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ওয়াজ উদ্দিন মোল্যা (আনারস), বিএনপির প্রার্থী উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মাহবুব আলম (লাঙ্গল)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের একাধিক শক্ত প্রার্থী থাকায় ত্রিমোখি লড়াইয়ে বিএনপির প্রার্থীরই অবস্থান ভাল বলে জানা যায়। তবে প্রার্থী বিবেচনায় আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী সুবিধাজন অবস্থানে স্থানে থাকলেও বিদ্রোহী প্রার্থী সমানতালে রয়েছে।
টোক ইউনিয়ন: ১৪টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৯,৫১৫ জন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ জলিল (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শরীফ মোহাম্মদ ওয়াহীদ (আনারস), বিএনপির প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক কিরণ (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আতাউর রহমান বাদল ভূঁইয়া (চশমা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুদ্দিন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলো- আবদুল বারি (ঘোড়া), একেএম জাহাঙ্গীর বিন ছায়েদ (মোটর সাইকেল) ও আ. সালাম (অটো রিকশা)। আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে গত নির্বাচনে মূল লড়াইয়ে ২য় স্থানে ছিল বিদ্রোহী। তবে আওয়ামীলীগের চির প্রতিদ্বন্দি দুই প্রার্থীর মাঝে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ে ভাগ্যের সিকা ছিড়ে বিএনপির নবাগত তরুন প্রার্থীর কপালেও পড়তে পারে।
বারিষাব ইউনিয়ন: ১৩টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭,৫৬৫ জন। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস এম আতাউজ্জামান বাবলু (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম- সম্পাদক মনোয়ার হোসেন আকন্দ (আনারস), বিএনপির প্রার্থী বারিষাব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মৌলভী কফিল উদ্দিন (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির প্রার্থী দবির উদ্দিন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী তমিজ উদ্দিন (চশমা) ও মোঃ আরিফ মাহ্মুদ (মোটর সাইকেল)। হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ে আওয়ামীলীগ ও তাদের বিদ্রোহীর মাঝে বিজয়ী হতে শংকা কাজ করছে।
ঘাগটিয়া ইউনিয়ন: ৯টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৮,৬৩৭ জন। বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি হারুন অর রশিদ (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন নান্নু (আনারস), আওয়ামী লীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনূর আলম সেলিম (নৌকা), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহিউদ্দিন ভূঁইয়া (হাতপাখা)। এই ইউনিয়ন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আ স ম হান্নান শাহ্’র নিজ এলাকা হওয়ায় দলীয় প্রার্থীর নির্বাচিত হতে খুব বেশী একটা বেগ পেতে হবে না। তার পরও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিবেচনায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে।
সনমানিয়া ইউনিয়ন: ৯টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২২,৭২৩ জন। বিএনপির প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন বিএসসি (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আমিনুল ইসলাম শাহীন (আনারস), আওয়ামীলীগ প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাহাদত হোসেন মাস্টার (নৌকা), আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী আজহার চৌধুরী (মোটর সাইকেল), জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন বিপ্লব (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- শেখ নূর মোহাম্মদ জীবন (টেবিল ফ্যান) ও তোফাজ্জল হোসেন (চশমা)। এই ইউনিয়ন বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসাবেই খ্যাত । এখানে বিএনপির ভোট বেশি থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বিএনপির প্রার্থী।
কড়িহাতা ইউনিয়ন: ৯টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৭,৩১৩ জন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ মাহবুবুল আলম মোড়ল (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী অ্যাডভোকেট আসলাম হোসেন (আনারস), বিএনপির প্রার্থী উপজেলা যুবদল নেতা হারুন আর রশিদ (ধানের শীষ), বিএপির বিদ্রোহী প্রার্থী ইসাহাক হোসেন শাহীন (মোটরসাইকেল), জাতীয় পার্টির জাহাঙ্গীর আলম (লাঙ্গল), গণতন্ত্রী পার্টির শারফুদ্দিন (কবুতর), জাসদের বজলুর রশিদ (মশাল)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ভোট বেশি তাই বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর লড়াই হতে পারে। তবে প্রার্থী বিবেচনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তরগাঁও ইউনিয়ন: ১১টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৪,১১৮ জন। বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খলিলুর রহমান (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আলী হোসেন চৌধুরী রুকজু (আনারস), আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইবুর রহমান সিকদার নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী জোবায়ের হোসেন (লাঙ্গল)। এই ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর তেমন কোন অবস্থান না থাকায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই হবে বলে জানা যায়।
কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন: ১৪টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩০,৮৪৩ জন। বিএনপির প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আজগর হোসেন খান (ধানের শীষ), আওয়ামীলীগ প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন প্রধান (নৌকা), স্বতস্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক কাজী সিরাজুল ইসলাম (আনারস), গণতন্ত্রী পার্টির আব্দুর রাজ্জাক (কবুতর) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের উবায়দুল হক (হাতপাখা)। এই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ-বিএনপির প্রার্থীর মধ্যেই সরাসরি লড়াই হবে। এ ইউনিয়ন উপজেলা সদর হওয়ায় রাজনৈতিক সচেতন ও সাধারণ ভোটাররা মুখ খোলতে নারাজ। তারা প্রার্থী বিবেচনায় ভেবে-চিন্তেই তাদের মূল্যবান ভোট প্রদান করবেন বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা।
চাঁদপুর ইউনিয়ন: ৯টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৯,৯৪৯ জন। আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিজানূর রহমান মাস্টার (নৌকা), বিএনপির প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মোড়ল (ধানের শীষ) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ফজলুল হক (হাতপাখা)। এই ইউনিয়নে বিএনপির ভোট বেশি হলেও প্রার্থী বিবেচনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির প্রার্থীর মধ্যে ভোটযুদ্ধে যে কেউ বিজয়ী হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
দুর্গাপুর ইউনিয়ন: ১০টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৫,২৬২ জন। বিএনপির প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইউনুস আলী (ধানের শীষ), আওয়ামীলীগ প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ গাফ্ফার (নৌকা), জাতীয় পার্টির সোলাইমান (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হারিছ উল হক (হাতপাখা)। এ ইউনিয়ন বিএনপির দূর্গ বলে খ্যাত। এই ইউনিয়ন প্রার্থী বিবেচনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির যে কোনো প্রার্থী বিজয়ী হতে পারে। তবে ধনাঢ্য, দানবীর ও অতিথি পরায়ন ইউনূছ আলী মোল্লার বিজয়ের ক্ষেত্রে তার পাল্লাই ভারী বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়।
২১ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস