শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:৫০:০৬

‘জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে’

 ‘জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে’

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান মুজিব নগর সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করতে চাননি। ওয়ার-কাউন্সিলর করে যুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন তিনি। এসব অপকর্মের জন্য জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে। শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার বদ্ধভূমি সংলগ্ন রেলওয়ে মাঠে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ভাটিয়াপাড়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনতার সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কাশিয়ানী উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলরের কমান্ডার এনায়েত হোসেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, মুস্তাক ও তার সঙ্গীদের নিয়ে ভারতে বসে পাকিস্তানের সাথে আপস করতে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের নিরাপদে দেশ ত্যাগের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি বলেন, তিনি ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পাস করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করে রেখেছিলেন। এসব অপকর্মের জন্য জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করা হবে। মোজাম্মেল হক বলেন, পাকিস্তানের সংসদের আলোচনা করা হয়েছে, বাংলাদেশে নাকি কোনো মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। কোনো মা-বোন ধর্ষিত হয়নি। ওরা ৭১-এর পরাজয়ের গ্লানি এখনো ভুলতে পারেনি। তাদের আস্ফালনের জবাব দিতে যুদ্ধাপরাধীদের শুধু বিচারই করা হবে না, তাদের সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাজেয়াপ্তকৃত সম্পদ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যবহার করা হবে। আইন না থাকলে নতুন আইন তৈরি করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর বাজেয়াপ্ত করা হবে। মন্ত্রী বলেন, এদেশে যুদ্ধাপরাধীর দল জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ৪৪ বছর পরও তাদের স্বভাব পরিবর্তন হয়সিন। অচিরেই তাদের রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হবে। তাদের বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে দেয়া হবে না। মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তাদের ভাতা ১০ হাজার করা হয়েছে। আগামী ঈদ থেকে তাদের দুটি করে বোনাস দেয়া হবে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমান্ডের সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদীর গামা, সহ-সংগঠনিক সম্পাদক এস এম মজিবুর রহমান, সদস্য মিয়া মুজিবুর রহমান, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুর হক নুরুজ্জামান, যুদ্ধকালিন কমান্ডার ক্যাপ্টেন নুর মোহাম্মদ বাবুল, গোপালগঞ্জ জেলা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর, কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোক্তার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা এস এম মোহসীন আলী, খান ওয়ালিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মশিউর রহমান খান, খালিদ হোসেন লেবু প্রমুখ। ১৯ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে