গোপালগঞ্জ : আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন ছাত্র আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্যাম্পাসে এখনো উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহাঙ্গীর গ্রুপ ও ঈশা গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে চলা এই সংঘর্ষ চলে বুধবার দুপুর পর্যন্ত। এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, প্রশাসনিক ভবন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও দুইটি হলে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীর গ্রুপের ছাত্ররা মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা দিবস হলে ঢুকে ফরিদ মল্লিক নামে এক ছাত্রকে মারধোর করে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইংরেজী বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সম্রাট বিশ্বাস, গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মাহাদি হাসান ও ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র জাহাঙ্গীর আলমকে বিজয় দিবস হল থেকে বহিস্কার করেন।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে জাহাঙ্গীর গ্রুপের ছাত্ররা বিজয় দিবস হল ও স্বাধীনতা দিবস হলে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পরে বুধবার দুপুরেও জাহাঙ্গীর গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, অফিস কক্ষ ও হলে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় হামলার স্বীকার হন ৩ ছাত্র। আহত ওই ছাত্রদেরকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীর গ্রুপ দীর্ঘদিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বল প্রশাসনের কারণে ছাত্রলীগের জাহাঙ্গীর গ্রুপ এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোছাম্মৎ হালিমা হালিমা খাতুন জানান, হলে হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় শিক্ষকদের নিয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তুভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিষ্ট্রার জরুরী কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি হবে সে ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার(সার্কেল) আমীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
০৭ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস