গোপালগঞ্জ : প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমিকার ধস্তাধস্তি। একপর্যায়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হলো প্রেমিকা। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জে।
প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল প্রেমিকার।
রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বেদগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জিমনেসিয়াম উইমেন স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও টানাহেঁচড়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম সাবিনা ইয়াসমিন সুমী (২০)। ফরিদপুরের বোয়ালমারী মহিলা কলেজের বিএ সম্মান শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন তনি। তিনি ওই উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
এ ঘটনায় গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের কনস্টেবল ও সুমীর প্রেমিক তুহিন ও তার অপর দুই সহকর্মী মামুন ও মহেনকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পুলিশ সদস্য তুহিন তার দুই সহকর্মীর সহায়তায় প্রেমিকা সুমীকে জিমনেসিয়াম ও উইমেন স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য মহাসড়কের ওপর জবরদস্তি করতে থাকেন।
সুমী তার হাত থেকে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটে। এসময় দ্রুতগামী চলন্ত বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুমী।
দুর্ঘটনার পর পর ওই তিন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পলানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনগণ তাদের আটক করে।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
নিহত সুমীর বড় বোন খুরশিদা বেগম বলেন, তার ছোট বোন সুমীর সঙ্গে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইনে চাকরিরত পুলিশ সদস্য ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার মাধবহাট গ্রামের তুহিনের ৪-৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে চলছিল।
গোপালগঞ্জ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আমিনুল ইসলাম বলেন, তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
১০ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম