শনিবার, ০৪ মে, ২০১৯, ০২:১৭:২০

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে হারাম বলা খতিবকে বরখাস্ত করায় বিক্ষোভ, গুলিবিদ্ধ ৩

মঙ্গল শোভাযাত্রাকে হারাম বলা খতিবকে বরখাস্ত করায় বিক্ষোভ, গুলিবিদ্ধ ৩

নোয়াখালী :  নোয়াখালীমঙ্গল শোভাযাত্রাকে হারাম বলায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি ওমর ফারুককে বরখাস্তের প্রতিবাদ ও তাকে পুনর্বহালের দাবিতে ওই মসজিদের মুসল্লিরা বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভ থামাতে লাঠিচার্জ ও গুলি ছুড়েছে পুলিশ। এ সময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন— একলাশপুর এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে আপন (২০), আতিক উল্যার ছেলে মাহফুজুর রহমান (৩২) ও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরআফজাল গ্রামের শফিকুল আলমের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২০)। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখের আগে) জুম্মায় আলোচনায় একলাশপুর বাজার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা ওমর ফারুক পহেলা বৈশাখ পালন ও মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হারাম বলে উল্লেখ করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি জামাল উদ্দিন ও কয়েকজন প্রতিবাদ করেন। পরবর্তীতে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট মসজিদ কমিটির ছয়জন সদস্য জরুরি বৈঠক করে ইমাম ওমর ফারুককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেন। শুক্রবার (৩ মে) জুম্মার নামাজে আসা মুসল্লিরা এই ঘটনার প্রতিবাদ, কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটির দাবি ও মসজিদের গেইট ও দেওয়ালে লাগানো পোস্টার ছিড়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় মসজিদ প্রাঙ্গণে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুসল্লিদের ধাওয়া, লাঠিচার্জ ও কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হন।

মসজিদ কমিটির সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ নিয়ে বিতর্কিত আলোচনা করায় সভাপতি জামাল উদ্দিন কমিটির কয়েকজনকে নিয়ে বৈঠক করে ইমাম ফারুককে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তফা জাবেদ কাউছার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে মসজিদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার নির্দেশ দেন।’

বেগমগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ জানান, ঘটনাস্থলে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে ফোনে খতিব ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে