সোমবার, ১০ জুন, ২০১৯, ০৭:৪২:১৯

তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সাদপন্থী রহিমের মৃত্যু

তাবলিগ জামাতের জুবায়েরপন্থীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ সাদপন্থী রহিমের মৃত্যু

তাবলিগ জামাতের সাদপন্থী ও জুবায়েরপন্থীর দ্বন্দ্বের জেরে জুবায়েরপন্থীদের দেওয়া আগুনে দগ্ধ আব্দুর রহিম (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা গেছেন। সোমবার (১০ জুন) দুপুর তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। নিহত আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি এলাকায়। মৃত্যুর একদিন আগে রবিবার (৯ জুন) কিশোরগঞ্জের একজন ম্যাজিস্ট্রেট বার্ন ইউনিটে উপস্থিত হয়ে আব্দুর রহিমের জবানবন্দি নিয়েছেন। জবানবন্দিতে তিনি কয়েকজনের নাম বলেছেন।

নিহতের বড় ভাই আব্দুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘গত ১৯ মে রাতে তারাবি নামাজের পর মসজিদের পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে পেছন থেকে জুবায়েরপন্থীর লোকজন রহিমের গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ভর্তি করান।’

তিনি বলেন, ‘আগে সবাই সাদ অনুসারী ছিল। পরে জুবায়ের অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ হওয়ার পর থেকে জুবায়ের অনুসারীরা আমাদের সব কর্মকাণ্ডকে বাধা দিয়ে আসছে। আর এ কারণেই আজ তাকে এই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে।’

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার পূর্বপাড়ার মো. মোস্তফার ছেলে আব্দুর রহিম। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তিনি এক সন্তানের বাবা। আব্দুর রহিম তার মামা মামুনুর রশিদের ব্যবসা (কসমেটিকস ও ব্যাগের) দেখাশোনা করতেন। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল জানান, তার শরীরের পেছনে ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত দুই হাত ও মুখসহ ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

এ ঘটনায় নিহতের মামা মামুনুর রশিদ কটিয়াদি থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো মাহমুদুল হাসান সুমন ও সোহেল। তবে ঘটনার সঙ্গে আরও চার থেকে পাঁচজন জড়িত। মৃত্যুর আগে আব্দুর রহিম তাদের সবার নাম বলে গেছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে