রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৯, ০৭:০৪:১৩

কোচবিহার থেকে যেভাবে রংপুরে এসেছিলেন এরশাদ ও তার পরিবার

কোচবিহার থেকে যেভাবে রংপুরে এসেছিলেন এরশাদ ও তার পরিবার

রংপুর থেকে : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মূল বাড়ি ছিল ভারতের কোচবিহারে। তার বাবা মকবুল হোসেনকে কোচবিহার ছাড়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন ভারতের কোচবিহারের চিফ কমিশনার। 

তখন বাধ্য হয়েই মকবুল হোসেন তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে চলে আসেন রংপুরে। অপর বহিষ্কৃতরা পরে কোচবিহারে ফিরলেও মকবুল হোসেন তার ছেলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে নিয়ে থেকে যান রংপুরেই। ১৯৫০ সালে ক্রয়সূত্রে ঠিকানা হয় রংপুর মহানগরীর নিউ সেনপাড়ায় বর্তমান (স্কাইভিউ) বাড়িতে। 

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা পেশায় ছিলেন আইনজীবী। তিনি রংপুরের আদালতে শুরু করেন আইন পেশা। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাবা মকবুল হোসেন ছিলেন দিনহাটা আদালতের আইনজীবী। মা গৃহবধূ মজিদা খাতুন। ভারতের কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা তিনি।

কোচবিহার ছিল মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর শাসিত করদ মিত্ররাজ্য। ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পর ১৯৪৯ সালে মহারাজা ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির মাধ্যমে কোচবিহারের শাসন ব্যবস্থা একজন চিফ কমিশনারের হাতে ন্যস্ত করা হয়।

চিফ কমিশনার নিযুক্ত হন ভিআই নান্নাজাপ্পা। ১৯৫০ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের একটি জেলায় পরিণত হয় কোচবিহার। স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম জোতদারদের সমন্বয়ে গঠিত কোচবিহার স্টেট কাউন্সিলের সভায় মতবিরোধ তৈরি হয় ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে।

কাউন্সিলের প্রায় সব মুসলিম সদস্য পাকিস্তানের সঙ্গে যোগদানের পক্ষে অবস্থান নিলেও হিন্দু সদস্যরা বিরোধিতা করেন। মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের পক্ষে অবস্থান নেন। ওই সময়ে স্টেট কাউন্সিলের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ‘হিতসাধনা সভা’ কোচবিহারের প্রতিটি থানায় সভা-সমিতির মাধ্যমে ভারতবিরোধী প্রচারণা চালাতে থাকে।

মুসলিম সদস্যরা পাকিস্থানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে আরও কয়েকজনের সঙ্গে এরশাদের বাবা দিনহাটা আদালতের আইনজীবী মকবুল হোসেনকেও কোচবিহার থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

অবশ্য তার কয়েক বছর আগে ১৯৪৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নের জন্য রংপুরে এসেছিলেন এরশাদ। তার তখন গ্রাজুয়েশন শেষ পর্যায়ে। থাকতেন কারমাইকেল কলেজের জিএল হোস্টেলে। আরও আগে থেকে রংপুরে থাকতেন তার বড় বোন নাহার ও ভগ্নিপতি সিরাজুল হক। ভগ্নিপতি ছিলেন ইন্সপেক্টর অব স্কুর্লস।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে