নিউজ ডেস্ক : বহুল আলোচিত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হ'ত্যা মামলায় সাত আসামির মৃ'ত্যুদ'ণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। রায় ঘোষণার সময় আদালতে অভিযুক্তদের মধ্যে ছয় আসামি ও নিহ'তের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। মামলার রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন নিহতের স্বজন ও দলের নেতাকর্মীরা।
মামলায় মৃ'ত্যুদ'ণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খান, তাঁর পিএস শামসুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান মিয়া, ভাতিজা মেহেদি হাসান, শাহীন আলম, রানা ও চন্দন কুমার রায়। আসামি চন্দন এখনো পলাতক। আরেকজন আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ হয়ে মা'রা যান।
এর আগে সকালে জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ছয় আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা শুরু করেন বিচারক।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দু'র্বৃ'ত্তদের গুলিতে গু'রুত'র আহ'ত হন সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। আহ'ত অবস্থায় তাঁকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে মৃ'ত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনায় ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের ছোট বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খাঁনসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খাঁনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল আলোচিত এ হ'ত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে তা শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। এ মামলায় আদালতে বাদী, নিহ'তের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষী তাঁদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।