শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১২:৪৮:৫৩

যন্ত্রপাতি নেই, যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেই করোনা শনাক্ত

যন্ত্রপাতি নেই, যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেই করোনা শনাক্ত

লালমনিরহাট থেকে : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরে করোনা ভাই'রাস নিয়ে সত'র্কতা জারি করা হলেও ভাইরাস শনা'ক্তের কোনো ধরনের যন্ত্রপাতি নেই। জিজ্ঞা'সাবাদ করে যাত্রীদের অবা'ধে যাতায়াতের সুযোগ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বুড়িমারী স্থলবন্দরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ছাড়াই শুধুমাত্র জিজ্ঞাসা করেই চলছে করোনাভাইরাস শ'না'ক্তের কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশের প্রবেশপথ বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা যাত্রীদের করোনা ভাই'রাস শ'না'ক্তের থার্মাল স্ক্যানার (দেহের উ'ত্তা'প মাপার যন্ত্র) নেই।

চীনা কর্তৃপক্ষের বরাতে বিবিসি ও গার্ডিয়ান শুক্রবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনা ভাই'রাসে এখন পর্যন্ত মৃ'তের সংখ্যা ২১৩ জন। এছাড়া এতে আরও অন্তত ৯ হাজার ৬৯২ জন আ'ক্রা'ন্ত হয়েছেন। চীনের বি'রু'দ্ধে অভিযোগ, সংখ্যাটা অনেক কম দেখানো হচ্ছে। মৃ'ত ও আ'ক্রা'ন্তের সংখ্যা ধা'মাচাপা দিয়ে মানুষকে ভুল তথ্য দিচ্ছে চীন।

এ অবস্থায় চীনের প্রতিবেশী দেশগুলোতে আ'ত'ঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা ভাই'রাস। চীনের প্রতিবেশী ভারত ছাড়াও নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে বাংলাদেশের। বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রাণকেন্দ্র লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর।

শুধু ব্যবসা-বাণিজ্যই নয়, স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে প্রতিদিন অর্ধসহস্রাধিক পাসপোর্টযাত্রী এসব দেশে যাতায়াত করছেন। এর বেশির ভাগই চিকিৎসার জন্য যান। এসব দেশের শত শত ট্রাকচালক প্রতিদিন বাংলাদেশে আসছেন এবং দেশের চালকরা ভারতে যাচ্ছেন। সবমিলে বুড়িমারী ও চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর ত্রিদেশীয় প্রবেশপথ।

এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে যাত্রীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে জ্ব'র, সর্দি-কাশি আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অথচ করোনা ভাই'রাস শ'না'ক্তে থা'র্মাল স্ক্যা'নারের বিকল্প নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ পথে থা'র্মাল স্ক্যা'নার না থাকায় দেশে করোনা ভাই'রাস ছড়াতে পারে বলে আ'শ'ঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বুড়িমারী স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার মাহমুদ বলেন, স্থলবন্দরে চারজন চিকিৎসক থাকলেও করোনা ভাই'রাস শনা'ক্তের কোনো যন্ত্রপাতি নেই। ফলে ভারত ফেরত যাত্রীদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে করোনা ভাই'রাস শনা'ক্ত করা হয়।

বুড়িমারী স্থলবন্দর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল কর্মকর্তা আয়ুব আলী সরকার বলেন, করোনা ভাই'রাস শনা'ক্তের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের যন্ত্রপাতি দেয়া হয়নি। এজন্য যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করেই করোনা ভাই'রাস শ'না'ক্ত করছি আমরা।

লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাসেম আলী বলেন, বুড়িমারী ও ভারতের চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দর চেকপোস্ট দিয়ে চীনা নাগরিক আসার সম্ভাবনা নেই। এজন্য থার্মাল স্ক্যানার নেই। প্রয়োজন হলে অবশ্যই থার্মাল স্ক্যানার বসানো হবে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে