সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০২:৪০:০৬

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন একখণ্ড ‘সুন্দরবন’

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন একখণ্ড ‘সুন্দরবন’

সাজিদা ফেরদাউস: সুন্দরবন যেতে চাননা কিংবা সুন্দরবনের সৌন্দর্য হৃদয়কে স্পর্শ করে না এমন মানুষ হয়ত খুব কমই আছেন। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন শুধু একবার এই প্রকৃতির মায়াজাল দেখার জন্য। তবে সময়, শ্রম, অর্থ কোনটাই নেহাত কম লাগে না সুন্দরবন ভ্রমণে। কিন্তু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বসেই রোজ উপভোগ করেন সুন্দরবনের সৌন্দর্য।

ক্যাম্পাসে সুন্দরবন! অবাক হওয়ারই বিষয়। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক পেড়িয়ে কিছুদূর এগিয়ে গেলে সৌন্দর্যের লীলাভূমি, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রিন লেক দেখে যে কাউরে প্রথম দর্শনে সুন্দরবন বলেই মনে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে লেকটি ‘মিনি সুন্দরবন’ নামে পরিচিত।

দুই পাশে সুন্দরী বৃক্ষের সারি আর মাঝখানে লেকের সবুজ জলরাশি। প্রকৃতি যেন তার আপন রূপে সেজে উঠেছে। সুন্দরী বৃক্ষের সাড়িগুলো লেকটিকে মিনি সুন্দরবনের উপাধি দিতি যেন অনেকাংশ দায়ী। সৌন্দর্য পিপাসুদের আর দোষ কোথায়। আর লেকের জলরাশি! যেন বার বার মনে করিয়ে দেয় পশুর নদীর বয়ে চলা।

প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয় প্রকৃতি প্রেমিকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই লেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ তার অবসর সময় কাটাতে আসে। প্রকৃতি প্রেমীরা এখানে এসে ছবি তুলতে ভুল করেননা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ঘিরে রেখেছে এই ছোট্ট লেকটি। তাকে ঘিরেই মূলত নির্মিত হয়েছে শহিদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, ক্যাফেটেরিয়া। ২০০৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকের দক্ষিণ পাশে লাগানো সুন্দরী গাছের চারার প্রায় সবগুলো বেচে যায় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।আজ এত বছরে লেকের জল আর পাড়ের সবুজ বনানী এখানে তৈরি করেছে একটি ভিন্ন মাত্রা। গাছের শীতল ছায়া আর নির্মল বাতাস আপনার সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।

ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে যত ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে তাদের কেন্দ্রস্থল হবে লেকের পাড়। এজন্য কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যা দৃশ্যমান হবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে।-ইত্তেফাক

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে