বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০৯:৩৭:৪৭

রাতের আধারে বৃদ্ধা মাকে পি'টিয়ে ঘর থেকে বে'র করে দিল ছেলে

রাতের আধারে বৃদ্ধা মাকে পি'টিয়ে ঘর থেকে বে'র করে দিল ছেলে

লালমনিরহাট থেকে: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের বড়খাতা গ্রামে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মাকে পি'টিয়ে করে ঘর থেকে বে'র করে দিয়েছেন ছেলে দুলাল হোসেন (৪৫)। গত তিনদিন ধ'রে ঘরের জিনিসপত্রসহ বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন অসহা'য় ওই বৃদ্ধা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সরে'জমিনে দেখা যায়, বৃদ্ধা মায়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ঘরের বাইরে ফে'লে রে'খেছেন বড় ছেলে দুলাল হোসেন। এ সময় ওই বৃদ্ধার ছবি তু'লতে গেলে দুলাল হোসেন বা'ধা দেন। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সবার দ্বা'রে দ্বা'রে ঘু'রছেন ওই বৃদ্ধা।

জানা গেছে, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের বড়খাতা গ্রামের বাহানত উল্লাহর মৃ'ত্যুর পর তার স্ত্রী জোবেদা বেওয়া দুই ছেলেকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কথা কা'টাকা'টির জে'রে রাতে মাকে মা'রধ'র করে সব জিনিসপত্রসহ ঘর থেকে বে'র করে দেন বড় ছেলে দুলাল হোসেন। 

এরপর ছোট ছেলে জোবেদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বি'চার দেন ওই মা। বড়খাতা ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য আমিজন নেছা বলেন, বিষয়টি আমরা শুনে ঘট'নাস্থলে গিয়েছিলাম। তার ছেলে কাজটি ঠিক করেনি।

বৃদ্ধা জোবেদা বেওয়া বলেন, জায়গা-জমি সব লিখে নিয়ে আমাকে মা'রধ'র করে জিনিসপত্র ঘর থেকে বাইরে ফে'লে দিয়েছে বড় ছেলে। আমার স্বামীর রে'খে যাওয়া ঘর থেকে বের করে দিল আমাকে। এ দুঃ'খ কাকে বলি। পেটের ছেলে এভাবে মা'রবে এবং বে'র করে দেবে তা মেনে নেয়া যায় না।

বৃদ্ধার বড় ছেলে ও বড়খাতা বাজারে দর্জি দুলাল হোসেন বলেন, ''আমার মায়ের মুখের ভাষা খুবই খা'রাপ। তাই আমি মায়ের জিনিসপত্র বাইরে রে'খে দিয়েছি। আমার মাকে মা'রধ'র করিনি।'' বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, ''আমি ঘট'না শুনে সেখানে গিয়ে দেখেছি। ছেলে হয়ে মাকে মা'রধ'র করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি দ্রুত সমা'ধানের ব্যবস্থা করব।''

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে