ইসলাম ডেস্ক : আজ ৯ জিলহজ। শুরু হয়েছে মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা পবিত্র হজ পালন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর হজ শুরুর পূর্বে কাবা শরিফের গায়ে গিলাফ পরানো হয়। সেই রীতি অনুযায়ী আজ ৯ জিলহজ হজের দিনের শুরুতে কাবা শরীফে পুরোনো গিলাফ পরিবর্তন করে নতুন গিলাফ পরানো হয়। যাতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ কেজি স্বর্ণ।
প্রতি বছর হজ শুরুর প্রথম দিন বাদ ফজর পবিত্র কাবা শরিফের গায়ে পরানো হয় নতুন গিলাফ। আরাফাতের ময়দান থেকে হাজিরা এ দিন কাবা শরিফে ফিরে এসে কাবার গায়ে নতুন গিলাফ দেখতে পান।
গিলাফ পরিবর্তনের কাজে মসজিদুল হারামের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক নেতৃত্ব দেন। এ সময় সৌদি বাদশার প্রতিনিধিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাবা শরীফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরো বানানো হয়। চারটি টুকরো চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরোটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরোগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত।
এবছর কাবার পবিত্র গিলাফ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৫০ কেজি সোনা ও রূপার চিকন তার। ৬৭০ কেজি রেশম কাপড়। গিলাফের মোট আয়তন ৬৫৮ বর্গমিটার। ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয় এই গিলাফ। প্রতিটি থান ১ মিটার লম্বা, ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া। যার একটা আরেকটার সাথে সেলাই করা।
উল্লখ্য, গত বছর পবিত্র গিলাফ তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছিল ১২০ কেজি স্বর্ণ এবং ২৫ কেজি রুপা। পবিত্র গিলাফের ওপর স্বর্ণ দিয়ে লেখা থাকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ”, “আল্লাহু জাল্লে জালালুহু”, “সুবহানাল্লাহু ওয়া বেহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযিম” এবং “ইয়া হান্নান, ইয়া মান্নান”। চার কোণায় লেখা থাকে সুরা ইখলাস।
সৌদির বিখ্যাত ‘কিসওয়া’ ফ্যাক্টরির শতাধিক বুনন বিশেষজ্ঞদের নিখুঁত কাজের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এ গিলাফ। যাতে ব্যয় হয় লাখ লাখ সৌদি রিয়েল। নতুন গিলাফ পরানোর পর খণ্ড খণ্ড করা হয় পুরাতন গিলাফ। ওই খণ্ডগুলো বিশ্বের বিভিন্ন ইসলামি চিন্তাবিদদের উপহার হিসেবে দেয়া হয়।
১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/শান্ত/মো:শাই