বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:১৬:৫৬

গাছবাড়ীতে মাত্র ৪মাসে কোরআনে হাফিজ হলেন ১২ বছরের নাসিম

 গাছবাড়ীতে মাত্র ৪মাসে কোরআনে হাফিজ হলেন ১২ বছরের নাসিম

শিহাব আল মামুন, কানাইঘাট থেকে: কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ীস্থ ৭ নং দক্ষিণ বাণিগ্রাম ইউনিয়নের বাণিগ্রাম গ্রামের ১২ বছরের শিশু নাসিম অাহমদ মাত্র ৪ মাসে কোরঅানে হাফিজ হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সে বাণিগ্রাম গ্রামের তরিকত উল্লাহ ও মিসবা বেগমের গর্বিত সন্তান। ৮ নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের স্থানীয় অাগফৌদ নারাইনপুর গ্রামের অাবু বকর সিদ্দিকি ( রা:) হাফিজিয়া মাদ্রাসা থেকে সে হিফজ সম্পন্ন করে। নাসিম এর অাগে তার নিজ গ্রাম বাণিগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বিভিন্ন সামাজিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে সে বিভিন্ন বৃত্তিতে ভূষিহ হয়ে সবার নজর কাড়ে। হাফিজিতে ভর্তি হয়েও সে পুরস্কার অর্জন করে। অনেকটা দারিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও তার এমন প্রতিভার প্রশংসা করেছেন সবাই। অনেকেই বলেছেন এমন মেধাবীদের মেধা বিকাশে পড়াশুনা অাটকে থাকবে না,কেউ না কেউ এগিয়ে অাসবে। ৪ বোন ও ২ ভাইয়ের মধ্যে নাসিম সবার ছোট। নাসিমের এমন ফলাফলে মহান অাল্লাহর শুকরিয়া অাদায় করে তাঁর গর্বিত মা মিসবা বেগম ও বাবা তরিকত উল্লাহ সবার দোয়া চান।

নাসিম যে মাদ্রাসাটিতে পড়ে এমন ফলাফল অর্জন করেছে সেটা প্রতিষ্টা করেছেন অাগফৌদ নারাইনপুর গ্রামের অালোকিত ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট অালেমেদ্বীন হযরত মাওলানা ফজলে হক(র.) ফাজিল সাহেবের চাচাতো ভাই প্রবাসী মাওলানা তফজ্জুল হক। ফাজিল সাহেবের বাড়ির পার্শেই এ প্রতিষ্টানটি প্রতিষ্টা করা হয় ২০০৮ সালে। প্রতিষ্টার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ জন কোরঅানে হাফিজ হয়ে বের হয়েছেন। হাফিজিয়া পরীক্ষার বোর্ড সিলেট কুদরত উল্লাহ হাফিজিয়া বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার অংশ গ্রহণ করে প্রায় প্রতি বছরই দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় স্থান করে অাসছে এ মাদরাসাটি। মাদরাসায় ৪২ জন শিক্ষার্থী হাফিজি অধ্যয়ন করছেন। ২৫ জনের জন্য অাবাসিক ব্যবস্থা থাকলেও অনেকটা কষ্ট করেই ৩৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হচ্ছে। অন্যরা অনাবাসিক হিসেবে অধ্যয়ন করছেন। যাদের প্রচেষ্টায় এ মাদরাসা এগিয়ে যাচ্ছে তারা হলেন এ মাদরাসার দুজন শিক্ষক। হাফিজ মাওলানা মো: মখলিছুর রহমান ও হাফিজ মখলিছুর রহমান, দু মখলিছুর রহমানের প্রচেষ্টায় মাদরাসার মান এগিয়ে গেলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদরাসার অাবাসিক সমস্যা প্রকট অাকার ধারণ করছে। অাবাসিক সংখ্যা বৃদ্ধি করা এখন সময়ের দাবী। স্থানীয় বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক জামিলুর রহমান জামিল বলেন, মাদরাসার সুনাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে ছাত্র সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিষ্ঠাতার পক্ষে নতুন করে অাবাসিক সংখ্যা বৃদ্ধি করা একটু কষ্টকর। সরকারসহ বিত্তবানরা যদি এগিয়ে অাসেন তবে এ মাদরাসা অনেক এগিয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১২ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে