ইসলাম ডেস্ক: হযরত ইদরিস (আ.)-এর জন্মস্থান ও তাঁর প্রতিপালিত হওয়ার স্থান কোথায় এবং তিনি নবুওতপ্রাপ্তির আগে কার কাছ থেকে বিদ্যা অর্জন করেছেন—এ সম্পর্কে বিজ্ঞানী ও দার্শনিকদের মত বিভিন্ন প্রকার।
একদলের মতে, হযরত ইদরিস (আ.)-এর নাম ছিলো ‘হারমাসুল হারামিসা’। তিনি মিসরের ‘মানাফ’ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রিকরা ‘হারমাস’কে ‘আরমিস’ বলে। আরমিস শব্দের অর্থ বুধ গ্রহ। (আরমিস অথবা হারমিস গ্রিসের একজন বিখ্যাত জ্যোতির্বিদ ও জ্যোতিষশাস্ত্রজ্ঞ ছিলেন। এ-কারণেই তাঁকে আরমিস বলা হতো। গ্রিকরা আরমিস ও ইদরিসকে একই ব্যক্তি মনে করে। অথচ এটা একটি প্রকশ্য ভুল। এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।)
অপর দল মনে করে, তাঁর নাম গ্রিক ভাষায় ‘তিরমিস’; হিব্রু ভাষায় ‘খানুখ’ এবং আরবি ভাষায় ‘আখনুখ’। আর কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা তাঁর নাম ইদরিস বলেছেন। আবার একই দল বলে, তাঁর গুরুর নাম ছিলো ‘গুসা যাইমুন’ বা ‘আগুসা যাইমুন’ (মিসরি)। ‘গুসা যাইমুন’ সম্পর্কে এই দল এর চেয়ে বেশি আর কিছুই বলে না যে তিনি মিসরের অথবা গ্রিসের নবিগণের (আলাইহিমুস সালাম) মধ্য থেকে একজন নবি ছিলেন। আবার এই দলই গুসা যাইমুনকে দ্বিতীয় ইদরিন এবং হজরত ইদরিস আ.-কে তৃতীয় ইদরিন উপাধি দিয়ে থাকে। গুসা যাইমুন শব্দের অর্থ অত্যন্ত সৎকর্মপরায়ণ। তাঁরা এটাও বলেন যে, হারমাস মিসর থেকে বের হয়ে গোটা ভূ-মণ্ডল ভ্রমণ ও পর্যবেক্ষণ করেছেন। এরপর তিনি মিসরে প্রত্যাবর্তন করলে ৮২ বছর বয়সে আল্লাহপাক তাঁকে নিজের সান্নিধ্যে উঠিয়ে নেন।
তৃতীয় আরেকটি দল বলে, ইদরিস আ. বাবেলে (ব্যাবিলনে) জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে তিনি প্রতিপালিত হন ও বেড়ে ওঠেন। প্রথমজীবনে তিনি হজরত শীস বিন আদম আ. থেকে বিদ্যা অর্জন করেন। আকায়িদ শাস্ত্রের বিখ্যাত আলেম আল্লামা শাহারেস্তানি বলেন, আগুসা যাইমুন হজরত শীস আ.-এরই নাম।
সূত্র : কাসাসুল কোরআন
৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ