শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ০৯:৫৫:১৭

আজান নিয়ন্ত্রণে বিল উত্থাপন ইসরাইলী পার্লামেন্টে: সেই পার্লামেন্টেই আজান দিলেন এমপি

আজান নিয়ন্ত্রণে বিল উত্থাপন ইসরাইলী পার্লামেন্টে: সেই পার্লামেন্টেই আজান দিলেন এমপি

ইসলাম ডেস্ক: আজানের কারণে শব্দ দূষন হয় এমন অভিযোগ এনে ইসরাইল সরকার মসজিদে আজান নিয়ন্ত্রণে পার্লামেন্টে বিল উত্থাপন করেছিল। তবে ইসরাইলী পার্লামেন্ট (নেসেট) মেম্বার আহমাদ তিবি মসজিদে আজান নিয়ন্ত্রণের বিলের ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিলটির বিরুদ্ধে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি নেসেট অধিবেশনে পুরো আজান দেন।

তিনি বলেন, ‘এই বিল মসজিদের সংখ্যা কমিয়ে আনবে।’

তিনি দেশটিতে ইসলামোফোবিয়া (ইসলাম ভীতি) ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন ইসরাইলী ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।    

আহমাদ তিবি’র সঙ্গে আজানে যোগ দেন নেসেটের আরেক সদস্য তালেব আবু আরার।

নেসেটে আনীত বিলটি পাস হলে মসজিদে মুসলমানদের নামাজের আহ্বান অর্থাৎ আজান দেওয়ার ক্ষেত্রে মাইক ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে।

বিলটিতে সকল মসজিদে আজানের শব্দ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। বর্তমানে কয়েকটি মসজিদের ক্ষেত্রে আজান নিয়ন্ত্রণ করা হয় ইসরাইলে।

সমালোচকরা এটাকে ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ ও বিভেদ সৃষ্টির পায়তারা বলে উল্লেখ করেছেন।

ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহু গত রোববার বিলটির পক্ষে তার অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সঠিক সংখ্যা বলতে পারব না। তবে অসংখ্য ইসরাইলী আজানের শব্দ দূষণের প্রতিবাদ জানিয়ছেন।’

কথিত ‘মুয়াজ্জিন বিল’ এর কারণে ইতোমধ্যে দেশটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।   

চলতি বছর আজান নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ইসরাইলের রাজনৈতিক নেতারা একাধিকবার প্রস্তাব দিয়েছেন।

তিনটি কারণে এখনও বিলটি পার্লামেন্টে আটকে আছে। তবে এটি পাস হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠরা এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

ইসরাইলে ১৮ শতাংশ আরব বসবাস করেন। যাদের অধিকাংশই মুসলমান। তাদের অভিযোগ, ইহুদিরা তাদের সঙ্গে বরাবরই পক্ষপাতমূলক আচরণ করে থাকে।

উল্লেখ, গত ১৪ নভেম্বর নেসেটে আজান বন্ধের বিল উত্থান করা হয়।-ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
২৫ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে