ইসলাম ডেস্ক : ইমাম মাহদীর (আ.) উপর রচিত নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাবলীর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘মিকইয়ালুল মাকারেম ফি ফাওয়ায়েদিল দোওয়া লিল কায়েম’ শীর্ষক বইটি। এ বইটি প্রায় এক শত বছর পূর্বে প্রখ্যাত গ্রান্ড আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ মুহাম্মাদ তাকী মুসাভী ইসফাহানি (রহ.) রচনা করেন।
মূল বইটি আরবী ভাষায় প্রণীত। লেখক বইয়ের ভূমিকায় উল্লেখ করেছেন-
যেহেতু আমাদের মত অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে ইমাম মাহদীর (আ.) অনুগ্রহের উপযুক্ত জবাব দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তদুপরি আমরা ঐ মহান ইমামের (আ.) আবির্ভাব কামনা এবং তার অনুগ্রহ ও নৈকট্য প্রার্থনা করে দোওয়া করতে পারি। আর মহিমান্বিত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করা এবং তার আবির্ভাবের প্রতীক্ষায় থাকা আমাদের নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব। নিম্নে এ অতীব মূল্যবান গ্রন্থের কিয়দাংশ তুলে ধরা হল:
জেনেরেখ! আমাদের যুগের ইমাম তথা ইমাম মাহদী (আ.) সর্বাপেক্ষা সুদর্শন ও উত্তম চেহারার অধিকারী। কেননা তিনি রাসূলের (সা.) সাদৃশ্যতম ব্যক্তি। একদা রাসূল (সা.) বলেন: মাহদী আমার বংশধরের মধ্য থেকে; তার নাম আমার নামের অনুরূপ, তার উপাধি আমার উপাধির অনুরূপ। সে চারিত্রিক, স্বভাব, সাহসিক ও আত্মিক দিক থেকে সর্বাপেক্ষা আমার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সে অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিসমূহের মাঝে উজ্বল নক্ষত্রের ন্যায় দীপ্তমান। পৃথিবী যখন অন্যায় ও অবিচারে পরিপূর্ণ হবে, তখন সে আবারও পৃথিবীকে ন্যায় ও ইনসাফে পরিপূর্ণ করবে।
প্রসিদ্ধ হাদীসের ভাষ্য অনুযায়ী যখন এটা প্রমাণীত যে, ইমাম মাহদী (আ.) রাসূলের (সা.) সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ, তখন এটাও জেনেরেখ যে, রাসূল (সা.) সৃষ্টি জগতের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও সুন্দর চেহারার অধিকারী।
শিয়া ও সুন্নী উভয় মাযহাবের হাদীসগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন যে, মাহদী হল বেহেশতের ময়ুর। -শাবিস্তান, ইকনা।
২৮ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম