ইসলাম ডেস্ক: কিয়ামতের মাঠে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মানুষের আমল নামা উন্মোচন করবেন। সেদিন মূলত আমল নামা ওজনের মাধ্যমেই একজন ব্যক্তিকে জান্নাত কিংবা জাহান্নামে পতিত করা হবে। কিয়ামতের মাঠে প্রত্যেক মানুষের হাত, পা, চোখ কিংবা কান তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। কিয়ামতের বর্ণনা দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা নূরের মধ্যে বলেন, যেদিন তাদের জিহবাগুলো তাদের হাতগুলো ও তাদের পাগুলো তারা যা করত, সে ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। (নুর, ২৪ : ২৪)
সময়ের ক্রীড়াচক্রে বিচার দিবসে লোকেরা দেখতে পাবে অতীতে তারা কী করেছে। তাদের হাত, পা, মুখ ও চোখের ওপর তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সকল ভাল ও মন্দ কর্ম যা তারা সম্পাদন করেছিল তাদের সামনে একটি চলচ্চিত্রের পুনরাভিনয়ের মত উপস্থাপন করা হবে। এই বিস্তৃত বিশ্বে মানুষকে ভাল-মন্দ কাজ নির্বাচনের স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান করা হয়েছে এবং সময়ের মাধ্যমে তার সকল কর্মকে রেকর্ড করে রাখা হয়েছে। বিচার দিবসে সংকুচিত বিশ্বে কারো কোনো স্বাধীন ইচ্ছা থাকবে না। যখন সময় ধীরে ধীরে পুনরাবর্তিত হবে, প্রত্যেক মানুষই একটি বইয়ের পৃষ্ঠা খোলার মত করে নিজের সকল ভাল-মন্দের রেকর্ড প্রত্যক্ষ করবে।
একজন নাস্তিকের বিশ্বাস হতে পারে, সময়ের উল্টোচক্রের ফলে মানুষ তার শৈশবে ফিরে যাবে, অতঃপর মাতৃগর্ভে, আর তা থেকে অস্তিত্বহীনতায়। পক্ষান্তরে একজন মুমিন জানে, এ সকল ঘটনা সময় ও মহাবিশ্বের স্রষ্টা আল্লাহ তাআলার নিয়ন্ত্রিত। তিনি তার ইচ্ছামতো এই সংকোচনকে থামিয়ে দেবেন। অতঃপর প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার কর্ম অনুসারে পুরস্কার, তিরস্কার বা ক্ষমা করে দেবেন।
১২ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ