শনিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৬:০৪:১৭

মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো সিলেট জেলা ইজতেমা

মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও কল্যাণ কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো সিলেট জেলা ইজতেমা

ইসলাম ডেস্ক: দলবেঁধে মানুষ ছুটছেন। মহাসড়ক, সড়ক, গলিপথ মাড়িয়ে গন্তব্যে ছুটছেন তারা। লক্ষ লক্ষ মানুষের স্রোত গিয়ে মিশেছিল সেখানে। তাদের সবার লক্ষ্য ছিল সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের সিলেট-সুনামগঞ্জ বাইপাস সড়ক সংলগ্ন লতিপুর-খিদিরপুর এলাকা। মহান প্রভুর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এবং নিজের আত্মশুদ্ধির জন্যই সেখানে ছুটছেন তারা।

শনিবার সিলেট জেলা ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই ঠান্ডা উপেক্ষা করে এভাবেই ইজতেমাস্থলে ছুটছিলেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুরো এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। ইজতেমা স্থলে যারা পৌঁছাতে পারেনি তারা বাইপাস সড়ক, আশেপাশের রাস্তা ও গ্রামে অবস্থান নেন। এছাড়া বিপুলসংখ্যক নারী মুসল্লিও মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমার আশপাশের বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকেই অবস্থান নেন।

সিলেটের ইতিহাসে এমন জনসমুদ্র আগে কখনও দেখা যায়নি। এমনকি বিশাল-বিশাল সভা সমাবেশ কিংবা অন্য কোন অনুষ্ঠানেও এমন উপস্থিতির ঘটনা নেই। তাছাড়া সামান্য জনসমাবেশের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনকে অনেক বেগ পেতে হলেও দশ লক্ষাধিক বিশাল জনসমুদ্রের শৃঙ্খলায় কোন বেগ পেতে হয়নি। ঘটেনি কোন অপ্রীতিকর ঘটনাও। কেননা; এখানে যারা এসেছেন তাদের সবার লক্ষ্য ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।

সিলেটের মানুষ বরাবরেই ধর্মের প্রতি অনুরাগ রয়েছে। ধর্মীর কোন উৎসব কিংবা কার্যক্রমে তাদের উপস্থিতি সবসময়েই অগ্রভাগে থাকে। যার প্রমাণ মিলেছে জেলা ইজতেমায়। গত বৃহস্পতিবার ফজরের নামাজ পর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ইজতেমায় দেশি-বিদেশি কয়েক লক্ষ মুসল্লির সমাগম ঘটে। শুধু তাই নয়; ইজতেমার ময়দানে জুমার নামাজ আদায় করতেও জনতার স্রোত মিশেছিল সেখানে।

টঙ্গির তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লীদের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় এবার ৩২ জেলার অংশগ্রহণে তুরাগ তীরে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাকি ৩২ জেলায় জেলাভিত্তিক ইজতেমা পালন করবে। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটেও আয়োজিত হয় তিন দিনব্যাপী ইজতেমা।

তাওহীদ, রিসালাত, দাওয়াত, সালাত, জিকিরসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে বয়ান হয় ইজতেমায়। তিনদিন ধরে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করে এসব বয়ান শোনেন। ইজতেমা শেষে মুসল্লিরা বিভিন্ন গন্তব্যে যাবেন এবং ইসলামের সুমহান বাণীগুলো পৌঁছে দেবেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।
৩১ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে