শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০১৭, ০৩:০০:৩৩

মহান সাধক হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ)

 মহান সাধক হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ)

আবুল কাসেম ভূইয়া: এ ই উপমহাদেশে ইসলাম ধর্ম প্রচারে হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ) এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ৫৮৩ হিজরীতে তিনি পবিত্র হজ্ব ব্রত পালনের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফ যান। মক্কা শরীফ থেকে তিনি মদীনা শরীফে হযরত মোহাম্মদ (স) এর পবিত্র রওজা জিয়ারত করতে যান। কথিত আছে মদীনা শরীফে নবীজী তাঁকে স্বপ্নযোগে হুকুম করেন ভারতের আজমীর নামক স্থানে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য। তারপর তিনি আজমীরের উদ্দেশ্য রওনা হন। তিনি ছিলেন খুব উঁচু স্তরের আধ্যাত্মিক সাধক। ছোটবেলা থেকেই তিনি কঠোর এবাদতে নিজেকে নিয়োজিত রাখতেন। তিনি তাঁর পীর সাহেব হযরত খাজা ওসমান হারুনী (রহ) এর কাছে আধ্যাত্মিক জগতের শীর্ষ স্থানে পোঁছানোর শিক্ষা লাভ করেন। তিনি আল্লাহর এবাদতে এতই মশগুল থাকতেন যে, প্রতিদিন আড়াই হাজার রাকাত নফল নামাজ আদায় করতেন। তিনি ইসলামের স্থায়িত্বের জন্য এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য ও রাসূল (স) এর মোহাবত লাভের উদ্দেশ্যে মুসলামানদের জন্য চিশতিয়া তরিকা প্রকাশ এবং প্রচার করেন। চিশতিয়া তরিকা মতে মানুষের শরীরে সর্বমোট ১০টি লতিফা আছে। এই লতিফাগুলো দিয়ে মহান আল্লাহতায়ালার নেয়ামতের শোকর গুজার করতে হয়। নিয়মিত জিকির আজকার করে লতিফাগুলো আল্লাহতায়ালার রেজামন্দির উপযুক্ত করতে হয়।

হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ ৫৩৭ হিজরীতে ইরানের খোরাসানের সন্জর গ্রামে ১৪ রজব তারিখে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সৈয়দ গিয়াস উদ্দীন (রহ) ছিলেন একজন ধনী ব্যবসায়ী এবং বুজুর্গ ব্যক্তি। মায়ের নাম বিবি উম্মুল ওয়ারা (রহ)। হযরত খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি (রহ) মা-বাবা উভয় দিক থেকে হযরত ইমাম হোসেন এবং হযরত ইমাম হাসান (রহ) এর বংশধর ছিলেন। তিনি ওলীকূল শিরোমণি হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ) এর ঘনিষ্ট আত্মীয় ছিলেন। এই মহান বুজুর্গ ব্যক্তি তাঁর দীর্ঘজীবনে আধ্যাত্মিক সাধনা শেষে ৯৭ বছর বয়সে ৬৩২ হিজরীতে ৬ রজব তারিখে ওফাত প্রাপ্ত হন।-ইত্তেফাক
৩১ মার্চ ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে