শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৫:৩২:২৫

আশুরার দিনে যা যা ঘটেছিল

আশুরার দিনে যা যা ঘটেছিল

ইসলাম ডেস্ক: পবিত্র মহররম মাসের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা পালন করা হয়। এই দিনটি সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ ও সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এসব মাসে তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করো না। সুরা : তাওবা-৩৬

হাদিস শরিফে এসেছে, এ চারটি মাস হলো, জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। তাই অতিগুরুত্বপূর্ণ এই মাসের ১০ তারিখের সঠিক ইতিহাস প্রতিটি মুসলমানের জেনে রাখা উচিত। আসুন আমরা নিচের লেখাটি পড়ে আশুরার দিনে মূলত কি কি ঘটেছিলো তা সম্পর্কে অবগত হই। আপনি জানেন কি, আল্লাহ তায়ালা এই সুন্দর পৃথিবী কবে বানিয়েছেন? এই মহররম মাসের ১০ তারিখে! বাবা-আদম আ. কেও সৃষ্টি করেছেন বরকতময় আশুরায়! তাদের জান্নাত উপহার দিলেন এই দিনে। তারপর? মা হাওয়া ও বাবা আদমের গন্ধম খেলেন!

দীর্ঘ বছর গন্ধম খাওয়ার দায়ে কাঁদছিলেন আমাদের আদি মা-বাবা! গন্ধম খাওয়ার দায় থেকে এই আশুরার দিনেই মুক্তি পেলেন তারা। হজরত ইব্রাহিমও আ. নমরুদের অগ্নিকুন্ড থেকে রেহায় পান আজকের ১০ তারিখে। কুষ্ঠরোগ থেকে হজরত আইয়ুব আ.-এর সুস্থ হয়ে ওঠা এবং হজরত ইউনুস আ. মাছের পেট থেকে মুক্তি পাওয়ার স্মরনীয় দিনটিও মহররমের দশ তারিখ। হজরত নুহ আ. এর কিস্তিও তীরে ভিড়ে এই দিনে। মহাপ্লাবনে আক্রান্ত হজরত নুহের অনুসারীরা এই দিনে মাটির স্পর্শ পায়। আশুরার এই দিনে রাজত্ব ফিরে পায় হজরত সুলাইমান আ.। হজরত মুসা আ. কে ধাওয়া করতে আসা ফেরাউন বাহিনী এই দিনেই সাগরে ডুবে মারা যায়। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে, মহররম আমাদের কাছে বেদনা-যাতনা শোকের কবিতা।

উম্মতে মুহাম্মদির কাছে আশুরা মানে মাতমের সুর! বেদনার বাঁশি। উপলক্ষ-কারবালা। ফুরাতের পাড়ে নবী দৌহিত্র হজরত হাসান রা.সহ ৭২ জনের শাহাদাত! আশুরার ফজিলত! পবিত্র মহররম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকেই আল্লাহর বিধান ও গণনায় মাসের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ ও সম্মানিত মাস। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান। সুতরাং এসব মাসে তোমরা নিজেদের প্রতি অবিচার করো না। সুরা : তাওবা-৩৬ হাদিস শরিফে এসেছে, এ চারটি মাস হলো, জিলকদ, জিলহজ, মহররম ও রজব। আশুরার দিনে রোজার প্রচলন ছিল জাহেলি যুগেও! হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদিন রাসুল সা.-এর কাছে আশুরার দিবস সম্পর্কে আলোচনা করা হলে তিনি বলেন, এই দিন জাহেলি যুগের লোকেরা রোজা রাখত। মুসলিম : ২৬৪২

হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, জাহেলি যুগে মক্কার কুরাইশ বংশের লোকেরা আশুরার রোজা রাখত এবং রাসুলও সা. আশুরার রোজা রাখতেন (মুসলিম : ২৬৩২)। হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, মহানবী মা. বলেন, রমজানের পর সর্বোত্তম রোজা হচ্ছে মাস মুহররম মাসের রোজা। সহিহ মুসলিম : ১৯৮২ ২৪ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে