মঙ্গলবার, ১৬ মে, ২০১৭, ১০:১১:৩৩

দাফনের ১৩ বছর পরও অক্ষত কোরআনে হাফেজের লাশ!

দাফনের ১৩ বছর পরও অক্ষত কোরআনে হাফেজের লাশ!

ইসলাম ডেস্ক: ২০০৪ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় মারা যান এক কোরআনে হাফেজ। ইসলামী রীতি মেনে দাফনও করা হয় তাকে। কিন্তু দীর্ঘ ১৩ বছর পর অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে সেই হাফেজের মরদেহ। এমনটাই জানিয়েছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মৈশাতুয়া ইউনিয়নের খানাতুয়া গ্রামের বাসিন্দারা।

জানা যায়, ওই কোরআনে হাফেজের নাম মোহাম্মদ মাসুদ, ১৩ বছর বয়সে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তিনি খানাতুয়া গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার ছোট।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে কোরআনে হাফেজ মোহাম্মদ মাসুদ ১৩ বছর বয়সে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। ওই সময় চারদিকে বন্যার পানি বেশি থাকায় তাকে গ্রামের বিরার পুকুর পাড়ে দাফন করা হয়। দাফনের দীর্ঘ ১৩ বছর পর গত ১৪ মে পুকুর পাড়ের মাটি ভেঙে মাসুদের লাশটি পুকুরে পড়ে যায়।  

এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে লাশটি পানি থেকে উঠায়। ১৩ বছর পরও কাপনের কাপড় অক্ষত অবস্থায় দেখে স্থানীয়রা বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরে এলাকাবাসী পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশটি পুনরায় দাফন করে।
 
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর দূরদূরান্ত থেকে মানুষ মাসুদের কবর দেখতে খানাতুয়া গ্রামে ভিড় করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও লাশের ছবি পোস্ট করে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহ্ আলম জানান, আমরা লাশটি পুকুরে পড়ে থাকতে দেখে উঠিয়ে পুনরায় দাফন করি। ১৩ বছর পরও কাপনের কাপড় একেবারে অক্ষত দেখে আমরা অবাক হয়ে যাই। মৈশাতুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি সত্যি একটি অলৌকিক ঘটনা।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মজিবুর রহমান জানান, ''যে পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া থাকার কথা ছিল ওই মাটিতে সম্ভবত তা ছিল না। এমনকি একটি লাশ দাফনের সময় যদি কোন প্রকার অতিরিক্ত মেডিসিন বা কেমিকেল ব্যবহার করে থাকে, তাহলে পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে না। এতে ওই লাশ একশত বছরও অক্ষত থাকা সম্ভব। ''
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে