রবিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৪০:১৩

সময়মতো বিয়ে না করা নর-নারীদের উদ্দেশ্যে ইসলাম যা বলছে

সময়মতো বিয়ে না করা নর-নারীদের উদ্দেশ্যে ইসলাম যা বলছে

ইসলাম ডেস্ক: আমাদের প্রিয় নবী হযরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? সে বললো, আমার সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খৃস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যেও নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও। শয়তানের নিকট নারীর চেয়ে ভয়ংকর কোনো অস্ত্র নেই। যা ধর্মভীরু মানুষের উপরও কার্যকরী। তারাও নারী সংক্রান্ত ফেৎনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেৎনা থেকে পবিত্র। নোংড়ামি থেকে মুক্ত। অতপর বলেন, আক্কাফ! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি বিয়ে কর নতুবা তুমি পশ্চাৎপদ মানুষের মধ্যে থেকে যাবে। মুসনাদে আহমদ জমউল ফাওয়ায়েদ। [ইমদাদুল ফাতওয়া খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২৫৯।] বিয়ে পোশাকতুল্য হলে অবিবাহিত থাকা আর উলঙ্গ থাকা একই কথা। বিয়েকে পোশাকতুল্য বলার উদ্দেশ্য এই যে, সামর্থ থাকার পরও কোনো নারী-পুরুষের জন্য অবিবাহিত থাকা দোষণীয়। [হুকুকুল জাওযাইন, পৃষ্ঠা-১৬৬।] যেহেতু বিয়ের অনেক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাই বিয়ে না করলে বিভিন্ন ফেৎনা বা বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়। নানা কু-মন্ত্রনা ও আশংকা দেখা দেয়। যা ইবাদতের স্বাদ ও স্থিরতা সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেয়। এসব আশংকা ও কু-মন্ত্রনার ফলে অনেক মানুষের নিকট ইবাদত করা বোঝা মনে হয়। কেউ কেউ নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়। আবার কেউ সামাজিক সম্মান রক্ষার জন্য নারীঘটিত সম্পর্ক এড়িয়ে চললেও অল্প বয়সী ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যা নারীঘটিত সম্পর্ক থেকেও মারাত্মক অপরাধ ও পাপ। কেননা নারী পুরুষের জন্য বৈধ একটি মাধ্যম। আর পুরুষ পুরুষের জন্য সর্বদা হারাম বা অবৈধ। অনেকে মূল অপকর্ম থেকে বেঁচে থাকলেও তার পূর্ব কাজ যেমন, চুমু খাওয়া, স্পর্ষ করা ইত্যাদি করে। যাতে মানুষের সন্দেহ না হয়। এমনকি তারা নিজেরাও তাকে স্নেহসূলভ ভালোবাসা মনে করে। نعوذ بالله من الفتنة ما ظهرمنها و بطن আমরা আল্লাহর নিকট সকল প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য ফেৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি। [ইছলাহে ইনকিলাব, পৃষ্ঠা-৪২।] অনেকে প্রয়োজন ও সামর্থ উভয় থাকার পরও বিয়ে করে না। কেউ কেউ প্রথম থেকেই বিয়ে করে না। কেউ কেউ স্ত্রী মারা গেলে বা তালাক দিলে পুনরায় বিয়ে করে না। অথচ প্রয়োজন ও সামর্থ উভয় থাকলে বিয়ে করা ফরজ। [ইসলাহে ইনকিলাব, পৃষ্ঠা-৩৯।] ২৫ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে