রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭, ০৮:৫৩:১৯

রোজা রেখে ৬টি কাজ করা নিষিদ্ধ

রোজা রেখে ৬টি কাজ করা নিষিদ্ধ

ইসলাম ডেস্ক: কোন ব্যক্তি যদি রোজা রেখে নিচের ৬টি কাজ করে, তাহলে তার রোজা নিশ্চিত ভাবে উপোশের মতো হয়ে যাবে।  অর্থ্যাৎ রোজাদার ব্যক্তিকে শুধু না খেয়ে থাকলেই হবে না, বরং সকল অনৈতিক বিষয়ে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।  রমাজান মাসে রোজাদার ব্যক্তিকে কোন ছয়টি জিনিস করা একেবারেই নিষিদ্ধ চলুন তা জেনে আসি।

১) দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে।  তাই বেগানা মেয়েদের দেখা থেকে চোখকে হেফাজত করুন।  তা সরাসরি দেখা হোক বা টিভি-সিনেমায় দেখা হোক বা ম্যাগাজিন ও পত্রিকার ছবি হোক।  অনেকে রোজা রেখে অবসর সময় নাটক-সিনেমা দেখে কাটায়।  এতে তাদের রোজা হালকা হয়ে যায়।

২) জবানের হেফাজত করা।  অর্থা‍ৎ মিথ্যা, গীবত, পরনিন্দা, অশ্লীল কথাবার্তা ও ঝগড়া থেকে রিবত থাকা।  হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, যে ব্যক্তি রোজা অবস্থায় মিথ্যাচার ও মন্দ কাজ ত্যাগ করেনি তার পানাহার ত্যাগে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।  -সহিহ বুখারি: ১/২৫৫, হাদিস- ১৯০৩

অন্য এক হাদিসে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, 'রোজা অবস্থায় তোমাদের কেউ যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল, হট্টগোলে লিপ্ত না হয়।  যদি কেউ তার সঙ্গে গালিগালাজ বা মারামারি-কাটাকাটিতে লিপ্ত হতে চায় তবে সে (অনুরূপ আচরণ না করে) বলবে, আমি রোজাদার। '

এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রোজা অবস্থায় মারামারি ও ঝগড়াঝাটি তো দূরের কথা, শোরগোল করাও রোজার আদব পরিপন্থী।  অতএব জবানকে এসব থেকে বিরত রেখে সর্বদা জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে তরতাজা রাখবে।

৩) কানের হেফাজত।  যেমন- গান শোনা, গীবত, পরনিন্দা ও অশ্লীল কথাবার্তা শোনা থেকে বিরত থাকা।

৪) অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, যেমন হাত-পা ইত্যাদিকেও গোনাহ ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখা।

৫) অন্তরকেও সব রকমের গোনাহ থেকে বিরত রাখা।  যেমন- গোনাহের কল্পনা করা, পেছনের গোনাহ স্মরণ করে স্বাদ গ্রহণ করা, অহঙ্কার, হিংসা, কু-ধারণা ইত্যাদি থেকে অন্তরকে হেফাজত করা।

৬) সেহরি ও ইফতারে হারাম আহার পরিহার করা।  ইমাম গাজ্জালী (রহ.) বলেন, যে ব্যক্তি সারাদিন রোজা রেখে হারাম খাবার দ্বারা ইফতার করে সে যেন একটি অট্টালিকা নির্মাণ করে আর একটি শহর ধ্বংস করে।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে