ইসলাম ডেস্ক: ইসলাম ধর্মে সালাতকে ফরয করা হয়েছে। তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রতিদিন পাঁচওয়াক্ত সালাত আদায় করে থাকেন। তবে অনেক মুসলামান ভাইদের বাড়িতে একা একা সালাত আদায় করতে দেখা যায়। তারা যদি মসজিদে সালাত আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে জানতো, তাহলে কখনোই বাড়িতে বসে একা একা সালাত আদায় করতো না। তাই মসজিদের ফজিলত সমূহ এখনই জেনে নিন।
মসজিদের ফজিলত সমূহ:
১। মসজিদ সমূহ আল্লাহ পাকের ঘর। যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের ঘরে প্রবেশ করবে তার হেফাজত ও মেহমানদারীর দায়ীত্ব আল্লাহ পাকের।
২।মসজিদ সমূহ কাবার অংশ। হাসরের ময়দানে যখন কাবাকে আল্লাহ পাক জান্নাতের প্রবেশের নির্দেশ দিবেন তখন কাবা বলবে আমি আমার আহাল (পৃথিবীর সমস্ত মসজিদ সমূহ) ব্যতিত একা জান্নাতে যাব না। কাবার অনুরোধে আল্লাহ পাক সমস্ত মসজিদ সমূহকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দান করবেন। সমস্ত মসজিদ সমূহ আল্লাহ পাকের নিকট আরজ করবে , হে আল্লাহ আমি আমার আহাল (বা মুসুল্লি এবং মসজিদ আবাদকারী) ব্যতিত জান্নাতে যাব না। তখন মসজিদ সমূহের অনুরোধে মসজিদের সমগ্র মুসুল্লিগন সহ জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দান করিবেন। তাই বেশী বেশী মসজিদে গমন করা বিশেষ করে ৫ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সহিত আদায় করা প্রত্যেক মোমেনের ছিফাত।
৩।মসজিদে অজুর সহিত বসে পরবর্তী নামাজের অপেক্ষায় থাকলেও তার আমল নামায় নামাজেরই নেকী নেখা হয়।
৪।মসজিদ মুত্তাকীনদের ঘর।
৫।মসজিদে জামাতের নামাজের ফজিলত ৫০০ গুন বৃদ্ধি পায়। মদিনার মসজিদে ৫০,০০০ গুন , কাবায় এক লক্ষ গুন এবং আল্লাহর রাস্তায় ৪৯ কোটি গুন বৃদ্দি পায়।
৬।এশা এবং ফররের নামাজ মসজিদে জামাতে আদায়ে সারা রাত্রি নফল নামাজের নেকী অর্জিত হয়।
৭।নিজ ঘর থেকে অজু করে মসজিদের দিকে নামাজের জন্য রওয়ানা হলে তার আমল নামায় এহরাম বেধে হজ্জে রওয়ানা হওয়ার নেকী লেখা হয়্।তার প্রতি কদমে একটি করে গোনাহ মাপ করা হয় এবং একটি করে নেকী লেখা হয়। যার যত বেশী কদম পড়বে তার তত বেশী নেকী হবে।
৮।যে ব্যক্তি জুমুআর দিন সর্বপ্রথম মসজিদে উপস্থিত হবে তার আমল নামায় একটি উট সাদকা করার নেকী লেখা হয়।
৯।মসজিদ দ্বীনি তালিমের মার্কাজ। রাসুল সা: কাফের ও সাহাবা রা: গনকে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে মসজিদে নববীতে একত্র করে দ্বীনের তালিম দিতেন।
১০।মসজিদ ঈমানদার তৈরীর কারখানা বা মার্কাজ বা হাসপাতাল।
১১।যে ব্যক্তিকে বেশী বেশী মসজিদে গমন করতে দেখ তাকে ঈমানদার হিসাবে সাক্ষ দিতে পার। (হাদীস)
১২।মোনাফিকদের জন্য মসজিদে যাওয়া কষ্টসাধ্য।
১৩।মোনাফিকদের জন্য ফজর ও এশার নামাজ মসজিদে আদায় করা কষ্টসাধ্য।(হাদীস)
১৪।পৃথিবীর সমস্ত মসজিদ সমূহ জান্নাতের টুকরা ও উৎকৃষ্ট স্থান এবং বাজার সমূহ নিকৃষ্ট স্থান।
১৫।মসজিদ ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তোলার মার্কাজ। রাসুল সা: মসজিদ থেকেই সমাজের সার্বিক কার্য পরিচালনা করেছিলেন।
১৬। মসজিদ থেকেই বিচার ব্যবস্থা কার্যকর করেছিলেন মহানবী সা: এবং খোলাফায়ে রাশেদীনগন।
বি:দ্র: রাসুল সা: এর জমানায় কোন সাহাবীকে বাসায় খুজলে পরিবারের সদস্য গন বলতেন তিনি মসজিদে গিয়েছেন কখন আসবেন জানীনা। কিন্ত বাজারের ক্ষেত্রে ছিল বিপরীত বলতেন বাজারে গিয়েছে এখনই চলে আসবেন। আর বর্তমান জমানায় হয়েছে উহার ৯০ ডিগ্রী বিপরীত। অর্থাৎ সাহেরব বাজারে গিয়েছেন কখন আসবেন জানিনা। আর মসজিদে গেলে বলে এইতো মসজিদে গিয়েছেন দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এখনই বাসায় চলে আসবেন। ইহার অর্থ হলো আমাদের অন্তরে আখেরাতের ভয় নেই, পরকালের ভয় নেই।
১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর