ইসলাম ডেস্ক: সূরা আল ফালাক পবিত্র কুরআনের ১১৩ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৫টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আল ফালাক সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং সূরা নাস পবিত্র কুরআনের ১১৪ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ৬টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১টি। আন নাস সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
এই দুটি সূরা অধিক পরিমাণে পড়ার কথা হাদিস শরীফে বলা হয়েছে। “হাদিস শরীফে আছে, নবী করিম (সাঃ) হযরত উকবা ইবনে আমেরকে বলেছেন, আমি কি তোমাকে দুটি উত্তম পঠিত সূরা শেখাব না? নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন, এ দুটি সূরা তোমরা পড়তে থাক। কেননা, এ দুটি সূরার মত কোন সূরা তোমরা পড়বে না।”
ফজিলত:
এই দুটি সূরা অধিক পরিমাণে পড়ার কথা হাদিস শরীফে বলা হয়েছে। “হাদিস শরীফে আছে, নবী করীম (সাঃ) হযরত উকবা ইবনে আমেরকে বলেছেন, আমি কি তোমাকে দুটি উত্তম পঠিত সূরা শেখাব না? নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন, এ দুটি সূরা তোমরা পড়তে থাক। কেননা, এ দুটি সূরার মতো কোন সূরা তোমরা কোন দিন পাবে না।” (মুসলিম ৮১৪)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাঃ) জ্বিন ও মানুষের বদনজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। যখন এ সূরা দুটি তাঁর উপর নাযিল হয় তখন তিনি এ সূরাই অবলম্বন করলেন এবং আশ্রয় প্রার্থনার শব্দ বাদ দেন। (তিরমিজী ২০৫৮)
অন্য হাদীসে আছে, নয়া কোন প্রার্থনাকারী এ সূরা দুটির ন্যায় কোন সূরা দ্বাদ্রা প্রার্থনা করেছে আর না কোন আশ্রয় কামনাকারী এ সূরা দুটির ন্যায় কোন সূরা দ্বারা আশ্রয় কামনা করেছে। অন্য বর্ণনায় একথাও আছে, এ সূরা দুটি তোমরা সর্বাদা পড়বে, যখই তোমরা নিদ্রা যাও এবং যখই নিদ্রা থেকে উঠ।
অন্য এক হাদীসে আছে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমরা সূরা ফালাক পড়তে থাক। কেননা, আল্লাহ্র নিকট এর চেয়ে অধিক প্রিয় এবং অধিক দ্রুত গ্রহণযোগ্য আর কোন সূরা তোমরা পড়তে পারবে না। সুতরাং যথাসম্ভব তোমরা এ সূরা পড়া ছেড়ে দিও না। হাদীসের অন্য এক বর্ণনায় রয়েছে, তোমরা এমন কোন বস্তু কখনো পড়তে পারবে না যা এ দু সূরার ছেলে আল্লাহ্র নিকট অধিক মকবুল হবে।
অন্য হাদীসে আছে, নবী করীম (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ তোমরা কি এ অতি বিস্ময়কর আয়াতগুলো দেখ নাই যা আজ রাতেই অবতীর্ণ হয়েছে? তোমরা কখনও এ আয়াতগুলোর চেয়ে উত্তম আয়াত পাবে না। সেগুলো হলো সূরা নাস ও সূরা ফালাকের আয়াতসমুহ।
১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/এমআর