সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৭, ১০:১২:২৭

কোন এক ব্যক্তি জনৈক মহিলাকে চুমু দিয়ে ফেলল, তারপর রাসূল সা.-এর নিকট এসে...

কোন এক ব্যক্তি জনৈক মহিলাকে চুমু দিয়ে ফেলল, তারপর রাসূল সা.-এর নিকট এসে...

হামিদ হোসেন মেহেদী: কোন এক ব্যক্তি জনৈক মহিলাকে চুমু দিয়ে ফেলল। তারপর রাসূল সা.-এর নিকট এসে এ কথা উল্লেখ করলো। তখন

কথায় আছে, 'To err is human' অর্থাৎ মানুষ মাত্রই ভুল। আর সৃষ্টিকর্তা ভালোবাসেন তাদেরকেই যারা ভুল করে, অতঃপর সেই ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে তওবা করে। প্রতিদিন আমাদের অজান্তে অনেক গুনাহ আমরা করে ফেলি। হয়তো কারো মনে কষ্ট দিয়ে, কারো সাথে রূঢ় আচরণ (Misbehave) করে, কারো সাথে বেয়াদবি করে অথবা অপছন্দনীয় কোনোকিছুর দিকে তাকিয়ে।
.
কয়েক মিনিট সময় নিবো কিন্তু। এটা পড়ে অবশ্যই ধন্যবাদ না দিয়ে থাকবেন না। তবে আমার নিজের কথা বলবো না। আল্লাহ ও আমাদের প্রিয় নবির (সঃ) মুখনিঃসৃত বাণী শোনাবো।
.
এখন আপনাদেরকে একটা সহজ থিউরি জানাবো। আমরা তো প্রতিদিন কুরআন পড়ি। আচ্ছা কুরআন এতো পড়ার পরেও কোনো চেঞ্জিং আসে না কেনো আমাদের জীবনে? জানেন কি, সব সহজ থিউরির নিউক্লিয়াস কিন্তু এই কুরআনই। আপনি কোনো ফ্রুট কেনার পূর্বে প্রায়ই এর স্বাদ কেমন তা পরীক্ষা করে দেখেন; ভালো নাকি খারাপ জানার জন্য। তাই না?
.
আচ্ছা কেনো এ কুরআন অধ্যয়ন করবেন, কখনো বিবেককে কি প্রশ্ন করে দেখেছেন? এর ভেতরের স্বাদটা কিন্তু খুব সুস্বাদু। তবে একবার খেয়ে দেখতে হবে। এখন বলবেন, তা কেমনে সম্ভব? হুম বলছি এখন। একটু কষ্ট করতে হবে আর কি। এন্ড্রয়েড ইউজ করেন তো। আপনার জন্য তো তাহলে একেবারেই ইজি ওয়ে। প্লে স্টোরে গিয়ে আজই অর্থসহ একটা কুরআন ডাউনলোড করে নিন। প্রতিদান দিন শুরু করুন কয়েকটা অর্থসহ আয়াত তেলাওয়াতের মাধ্যমে। আর এন্ড্রয়েড না থাকলে কয়েকশ টাকা দিয়ে একটা অর্থসহ কুরাআন কিনে ফেলুন আজই।
.
গ্যারান্টি দিলাম। ঠিক একমাস পর আপনার প্রেকটিক্যাল লাইফে অনেক পরিবর্তন নিজেই দেখতে পাবেন।
.
ওহ! এবার মূল কথায় আসি। বলছিলাম পাপ করার পর আমাদের করণীয় কী হতে পারে? সেটাও কিন্তু আমাদের মহান রব কুরআনে বলে দিয়েছেন। সত্যি কুরআনটা এমন একজন ম্যাজিশিয়ানের তৈরি, যে কাউকে সহজেই আকর্ষণ করে। মানুষের জীবনে কী কী ঘটবে, তা নিপুণভাবে তিনি এ গ্রন্থে গেঁথে দিয়েছেন।
.
চলুন, এবার একটু চোখ বুলিয়ে আসি, কুরআনের বারতম পারার ১১ নাম্বার সূরাটি। এর ১৪ তম আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, إِنَّ الْحَسَنٰتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّئَاتِ অর্থাৎ "নিশ্চয় সৎকাজ অসৎ কাজকে মিটিয়ে দেয়"। ধরুন, শয়তানের ধোঁকায় পড়ে একটা পাতক কর্ম করে ফেললাম, সাথে সাথে চাইলেই আমরা অজু করে দু'রাকাত নামাজ পড়ে নিতে পারি। অথবা কোনো অসহায়কে সাহায্য করতে পারি। কারণ তিনি তো বলেছেন, সৎকাজ অসৎ কাজকে মিটিয়ে দেয়।
.
আমাদের প্রিয় নবি (সঃ) এ ব্যাপারে কী উপদেশ দিয়েছেন? চলুন একটু দেখে নিই, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, “তোমাদের থেকে কোন মন্দ কাজ হলে পরে সাথে সাথে নেক কাজ কর, তাহলে উহার ক্ষতিপূরণ হয়ে যাবে।” [তিরমিয়ীঃ ১৯৮৭, মুস্তাদরাকে হাকেমঃ ১৭৮]
.
অন্য হাদীসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ “কোন এক ব্যক্তি জনৈক মহিলাকে চুমু দিয়ে ফেলল। তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে এ কথা উল্লেখ করলো। তখন তার এ ঘটনা উপলক্ষে উক্ত আয়াত নাযিল করা হলো। অর্থাৎ আপনি সালাত কায়েম করুন দিনের দু প্রান্তভাগে ও রাতের প্রথমাংশে। সৎকাজ অবশ্যই অসৎকাজ মিটিয়ে দেয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, এটা তাদের জন্য এক উপদেশ”। তখন লোকটি জিজ্ঞেস করলো হে আল্লাহর রাসূল! এ হুকুম কি কেবল আমার জন্য, না সকলের জন্য? তিনি বললেনঃ আমার উম্মতের যে কেউ নেক আমল করবে, এ হুকুম তারই জন্য”। [বুখারীঃ ৪৬৮৭]
হে মাবুদ, তুমি আমাদের তওবাকারীদের মধ্যেই শামিল করে নাও।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে