শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:১২:৫৮

পরহেজগার নারী বেহেশতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে

পরহেজগার নারী বেহেশতের যে কোনো দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে

হাফেজ মাওলানা মো: নাসিরউদ্দিন: স্ত্রী হলেন সহধর্মিনী, অর্ধাঙ্গিনী, স্ত্রী অবশ্যই সম্মানের পাত্রী। স্ত্রীর রয়েছে বহুমাত্রিক অধিকার, সঙ্গে রয়েছে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য। দাম্পত্য জীবনে স্বামী ও স্ত্রী একে  অন্যের সহায়ক ও পরিপূরক। সুতরাং একে অপরের প্রতি রয়েছে বিশেষ দায়িত্ব ও করণীয়। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, তারা তোমাদের আবরণ এবং তোমরা তাদের আবরণ।  (সুরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ১৮৭)

স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সাধারণত তিনটি দায়িত্ব রয়েছে-

(ক) স্ত্রীর মোহরানা পরিশোধ করা। বাকিতে হলেও পরিশোধ করতে হবে। মোহরানা পরিশোধ না করে মৃত্যু হলে তা ঋণ হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।

(খ) স্ত্রীকে খোরপোষ দেওয়া। খোরপোষ দুটি বিষয় - প্রথমটি হলো স্বামীর সার্মথ্য অনুযায়ী স্ত্রীর উপযুক্ত প্রয়োজনমতো  স্ত্রীকে খাদ্য দিতে হবে।

দ্বিতীয়টি হলো পোশাক- স্বামী স্ত্রীকে সার্মথ্য অনুসারে স্ত্রীকে প্রয়োজনমতো তার যোগ্য পোশাক দিবে।  

(গ) স্ত্রীকে নিরাপদ বাসস্থান দেওয়া- অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে থাকার জন্য এমন একটি ঘর বা কক্ষ দেবেন, যে ঘর বা কক্ষে স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া (স্বামী ব্যতীত) কেউই প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনটি স্বামীর পিতা-মাতা, ভাই-বোনও না।

এখন আমরা স্ত্রীর কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য জেনে নেই

বিয়ের পর যাবতীয় দায়িত্ব স্বামীর কাঁধে চলে আসলেও স্ত্রীরও কিছু কর্তব্য রয়েছে। আর তা হলো- স্ত্রী হিসেবে স্বামীর দেখভাল করা স্ত্রীর দায়িত্ব। স্বামীর সংসারের দেখাশোনা করা এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করাও স্ত্রীর অন্যতম দায়িত্ব।

আল্লাহ তায়ালা বলেন ‘পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এজন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোক হয় অনুগত্য এবং আল্লাহ যা হেফাজত যোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাজত করে। (সুরা আল নিসা, আয়াতঃ ৩৪)

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়সাল্লাম বলেন, ‘নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে, রমজানে রোজা রাখে, স্বীয় সতীত্ব রক্ষা করে শালীনতা বজায় রেখে চলে এবং স্বামীর আনুগত্য প্রকাশ করে। তখন সে বেহেস্তের যে কোনো দরজা দিয়ে পবেশ করতে পারবে।’  

(আবু দাউদ শরীফ)

আর সন্তানের  লালন পালনের যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব পিতার।  ভরণপোষণ, চিকিৎসা ও শিক্ষা যাবতীয় ব্যয়ভার পিতাই বহন করতে ইসলামে জোর দিয়ে বলা হয়েছে।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের দাম্পত্য জীবন সুখময় তার রাসুলের পথ নির্দেশনা অনুযায়ী চলার তাউফিক দান করুন। (আমিন)
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে