ইসলাম ডেস্ক : আল্লাহ্ তা’য়ালা মানবজাতিকে যেমন কৃতকর্ম সম্পর্কে প্রশ্ন করবেন, তেমনি জ্বিনজাতিকেও জিজ্ঞেস করবেন।
এ সম্পর্কে কোরআন পাকে ইরশাদ করা হয়েছে- আর সেদিন আল্লাহ্ তা’য়ালা সমস্ত সৃষ্টজীবকে একত্রিত করবেন (জ্বিন জাতীয় শয়তানদের তিরস্কারস্বরূপ বলা হবে) হে জ্বিন সম্প্রদায়! তোমরা মানুষের ব্যাপারে (তাদেরকে পথভ্রষ্ট করার জন্য) ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছ এবং তাদেরকে যথেষ্ট প্ররোচিত করেছ। (সূরা আনআম, আয়াত : ১২৮)
দুনিয়াতে যারা ভূতের পূজা করে তারা প্রকৃতপক্ষে শয়তান জ্বিনদেরই পূজা করে।
জাহেলিয়াতের জামানায় প্রথা ছিল, কোনো বিপদের সময় জ্বিনদের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা হতো।
রোজ হাশরে যখন জ্বিন এবং তাদের পূজারীদের প্রশ্ন করা হবে, তখন মুশরিকগণ বলবে, হে আমাদের রব! আমরা একে অন্যের কাছ থেকে ফল ভোগ করছিলাম।
আল্লাহ্ তা’য়ালা বলবেন, তোমাদের আশ্রয়স্থল দোযখ, সেখানে সর্বদা থাকতে হবে।
এ সম্পর্কে আল্লাহ্ তা’য়ালা কোরআন পাকে ইরশাদ করেন-
‘হে জ্বিন ও মানব সম্প্রদায়! তোমাদের কাছে কি তোমাদেরই মধ্য থেকে নবী আসেননি? তাঁরা তোমাদের কাছে আমার নির্দেশাবলী বর্ণনা করতেন এবং তোমাদেরকে আজকের দিনের সংবাদ দান করতেন।
তারা সবাই নিবেদন করবে, আমরা নিজেদের অন্যায়ের স্বীকারোক্তি করছি। আর তাদেরকে পার্থিব জীবন ভ্রমের মধ্যে ফেলে রেখেছে এবং স্বীকার করবে যে, তারা কাফের ছিল।’ (সূরা আনআম, আয়াত : ১৩০)
এ আয়াত দ্বারা পরিষ্কার বুঝা যায়, মানুষ এবং জ্বিন জাতিকে একত্রে জিজ্ঞেস করা হবে যে, তোমাদের কাছে কোনো নবী এসেছিলেন কি?
প্রশ্নের উত্তরে তারা স্বীকার করবে, হ্যাঁ, এসেছিলেন কিন্তু আমরাই তাঁদের উপদেশ শুনিনি।
৩০.০৯.২০১৩/এমটিনিউজ২৪/এসএম/এমআর/