ইসলাম ডেস্ক : হযরত আবূ সাঈদ খুদরী (রা.) বর্ণনা করেছেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বাইরে বের হয়ে দেখতে পেলেন, লোকেরা খিলখিল করে হাসছে, যার কারণে তাদের দাঁতসমূহ বেরিয়ে আছে।
তাদের এ অবস্থা অবলোকন করে তিনি ইরশাদ করলেন, সাবধান! ‘যদি তোমরা জীবনের স্বাদ বিনাশকারী বস্তু অর্থাৎ মুত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করতে তাহলে আমি তোমাদেরকে এই অবস্থায় দেখতাম না।
সুতরাং জীবনের স্বাদ বিনাশক বস্তু অর্থাৎ মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর। কেননা, কবরের উপর এমন দিন যায় না, যে দিন সে এ কথা না বলে, ‘আমি নির্জন ঘর, আমি কীট-পতঙ্গের আবাসস্থল।’
অতপর তিনি ইরশাদ করেন, ‘মুমিন ব্যক্তিকে যখন কবরে রেখে আসা হয় তখন কবর তাকে সম্বোধন করে বলে, ‘স্বাগতম’ আপনি নিজ ঘরে এসেছেন। আমার উপর দিয়ে যারা চলাফেরা করতো তাদের মধ্যে আপনি সর্বাপেক্ষা প্রিয় ছিলেন।
সুতরাং আজ যখন আপনাকে আমার কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আপনি আমার সান্নিধ্যে এসেছেন, তখন দেখতে পাবেন, আমি আপনার সাথে কত ভালো ব্যবহার করি।’
এরপর দৃষ্টি যতদূর যায় তার কবরও ততদূর প্রশস্ত হবে। আর তার জন্য জান্নাতের একটি ফটক খুলে দেয়া হবে।
আর যখন কাফের কিংবা পাপী ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয় তখন কবর তাকে উদ্দেশ্য করে বলে, ‘তোমার আগমন বড়ই খারাপ, আর তুমি অত্যন্ত নিকৃষ্ট স্থানে এসেছ।
আমার উপর দিয়ে বিচরণকারীদের মধ্যে তুমিই সর্বাপেক্ষা অপ্রিয় ও কুদসিৎ ছিলে।
সুতরাং আজ যখন তোমাকে আমার কাছে সোপর্দ করা হয়েছে এবং আমার বাগডোরে তুমি আবদ্ধ হয়েছ, তখন দেখতে পাবে, আমি তোমার সাথে কিরূপ আচরণ করি।’
এরপর তাকে এমনভাবে চাপ দেয়া হবে যে, তার ডান পাঁজর বাম পাঁজরে এবং বাম পাঁজর ডান পাঁজরের মধ্যে বসে যাবে। এটাকে বুঝাতে গিয়ে রাসূল (সা.) নিজের এক হাতের আঙ্গুলগুলো অপর হাতের আঙ্গুলের মধ্যে ঢুকিয়ে চাপ দেন। (মিশকাত)
১৯ মার্চ২০১৪/এমটিনিউজ২৪/আর/এমআর/