ইসলাম ডেস্ক: দুনিয়ার সর্বোত্তম সফলতা হলো অভাবমুক্ত থাকা। মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে অভাব-দুর্যোগ-ভয় ইত্যাদি দিয়ে পরীক্ষা করেন। যারা এ সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় তাদের জন্য রয়েছে সফলতা। তাই মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে সময় মতো তার বিধান তথা হুকুম যথাযথভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং ইবাদত-বন্দেগিতে ব্যস্ততা বা তাড়াহুড়ো কিংবা আলসেমি নয় বরং সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্দেষিত ও নির্ধাররিত ইবাদত যথাযথ পালন করে দুনিয়ার স্বচ্ছলতা ও স্বচ্ছন্দ্যপূর্ণ জীবন লাভের পাশাপাশি পরকালের সফলতা লাভ করা আবশ্যক।
হাদিসে কুদসিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মহান আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
‘হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতের জন্য তুমি নিজের অবসর সময় তৈরি কর ও ইবাদতে মন দাও; তাহলে আমি তোমার অন্তরকে প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেব এবং তোমার দারিদ্র্যকে দূর করে দেব।
আর যদি তা না কর, তবে-
তোমার হাতকে ব্যস্ততায় ভরে দেব এবং তোমার অভাব কখনোই দূর হবে না।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ঘোষণা অনুযায়ী এ কথা সুস্পষ্ট, যারা নিজেদেরকে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগিসহ যাবতীয় বিধি-বিধান পালনে নিজেকে তৈরি করবে-
> তাদেরকে মহান আল্লাহ তাআলা অভাব থেকে মুক্ত রাখবেন।
> তাদের অন্তরকে মহান আল্লাহ তাআল প্রাচুর্য দিয়ে ভরে দেবেন এবং
> মহান আল্লাহ তাআলার সব পরীক্ষায় সফলতা লাভ করবেন।
সুতরাং যারা নামাজ, রোজা, হজ, যাকাতসহ যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগিসহ মহান আল্লাহর বিধি-বিধান পালনে ব্যস্ততা দেখায় বা সময়ের অজুহাতে মহান আল্লাহর নির্দেশ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে; মহান আল্লাহ তাআলা সব সময়ই তাদেরকে ব্যস্ততায় রাখবেন এবং কখনোই তাদের অভাব দূর হবে না।
তাই ইবাদত বন্দেগির জন্য অবসর সময় তৈরি করাই মুমিনের প্রথম ও প্রধান কাজ। আর এ অবসর সময়ে একনিষ্ঠতার সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগি তথা দ্বীনের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করা জরুরি। আল্লাহুম্মা আমিন।