কুরবানির শিক্ষাঃ
কুরবানির মূল শিক্ষা হলো আত্মত্যাগ। পাশাপাশি বনের পশুর সাথে মনের পশুকে কোরবানি করাই হচ্ছে কোরবানির শিক্ষা। আমাদের মনে পশুত্বসুলভ যে স্বভাবগুলো রয়েছে কোরবানির সাথে সাথে যদি সেগুলোকে কোরবানি করতে পারি তা হলেই আমাদের কোরবানি করাটা সার্থক হবে। কোরবানির পশু নির্বাচন, কোরবানির নিয়ম ইসলাম সম্মত হওয়া একটি জরুরি বিষয়। বিভিন্ন কিতাবাদি এবং মুহাক্কেক আলেমদের নিবন্ধ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিম্নে প্রদান করা হলো।
কোরবানির পশু নির্বাচনঃ
# গরু, ছাগল, উট ও দুম্বা এই কয় প্রকার গৃহপালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা জায়েজ। এগুলো ব্যতিত অন্য পশু যত মূল্যবানই হোক, তা দিয়ে কোরবানি জায়েজ হবেনা।
# ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা কমপক্ষে পূর্ণ এক বৎসর বয়সের হতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক প্রাণী দিয়ে কোরবানী হবে না।
# বয়স যদি কিছু কমও হয় কিন্তু এমন মোটা তাজা যে, এক বৎসর বয়সীদের মধ্যে ছেড়ে দিলেও তাদের চেয়ে ছোট মনে হয় না, তাহলে তার দ্বারা কোরবানি জায়েজ আছে।
# বকরী কোন অবস্থায় এক বৎসরের কম হলে চলবে না।
# গরু ও মহিষের বয়স কম পক্ষে ২ বৎসর হতে হবে।
# উট এর বয়স কমপক্ষে ৫ বৎসর হতে হবে।
# কোরবানির পশু ভাল এবং হূষ্টপুষ্ট হওয়াই উত্তম।
# যে প্রাণী লেংড়া অর্থ্যাৎ যা তিন পায়ে চলতে পারে-এক পা মাটিতে রাখতে পারে না বা রাখতে পারলেও ভর করতে পারে না এমন পশু দ্বারা কোরবানি হবে না।
# যে পশুর একটিও দাঁত নেই তার দ্বারা কোরবানি হবে না।
# যে পশুর কান জন্ম হতে নেই সে পশুদ্বারা কোরবানি জায়েয নয়।
# যে পশুর শিং মূল থেকে ভেঙ্গে যায় তা দ্বারা কোরবানি বৈধ নয়। তবে শিং উঠেইনি বা কিছু পরিমাণ ভেঙে গিয়েছে এমন পশু দ্বারা কোরবানি জায়েজ আছে।
# যে পশুর উভয় চোখ অন্ধ বা একটি চোখের দৃষ্টি শক্তি এক তৃতীয়াংশ বা তার বেশি নষ্ট তা দ্বারা কুরবানি জায়েজ নেই।
# যে পশুর একটি কান বা লেজের এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে বেশি কেটে গিয়েছে তা দ্বারা কুরবানি সঙ্গত নয়।
# অতিশয় কৃশকায় ও দুর্বল পশু দ্বারা কোরবানি বৈধ নয়।
# ভাল পশু ক্রয় করার পর এমন দোষ ত্রুটি দেখা দিয়েছে যার কারণে কোরবানি দুরস্ত হয় না-এরূপ হলে সেটিই কোরবানি দেয়া দুরস্ত হবে।
# গর্ভবতী পশু কোরবানি করা জায়েজ। যদি পেটের বাচ্চা জীবিত পাওয়া যায় তাহলে সে বাচ্চাও জবাই করে দিতে হবে। তবে প্রসবের নিকটবর্তী হলে সেরূপ পশু কুরবানি দেয়া মাকরুহ।
# বন্ধ্যা পশু কোরবানি করা জায়েজ আছে।
২৯আগস্ট, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জই/আআজু