সাইদুর রহমান: আল্লাহ শব্দটি আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন। এছাড়া কুরআনে আল্লাহর গুণবাচক নাম দিয়ে ডাকতে বলা হয়েছে। আল্লাহ শব্দটি একটি অদ্বিতীয় এবং অপূর্ব। কোনকালে কোনো মানুষ এ শব্দের ব্যবহার অন্যত্র দেখেনি। এ শব্দের কোন শাব্দিক প্রকরণ হয় না। হয় না কোনো লিঙ্গান্তর।
এখন আল্লাহ শব্দের পরিবর্তে অন্য ভাষার কোনো শব্দ দিয়ে আল্লাহকে ডাকা যাবে কী ? এর উত্তর হলো, যদিও আল্লাহকে আল্লাহ বলে ডাকাই সবচেয়ে উত্তম ও শ্রেয়। এ বিষয়ে একটি মূলনীতি মনে রাখতে হবে। সেটি হল, আল্লাহ তাআলাকে অন্য ভাষায় এমন শব্দে ডাকা জায়েজ, যে শব্দে আর কাউকে ডাকা হয় না। সেই সাথে এটা অন্য কোন ধর্মের ধর্মীয় কোন নাম নয়। (আল ইয়াওয়াক্বীত ওয়াল জাওয়াহীর-৭৮, ফাতওয়া আলমগীরী-৬/৪৪৬}
এ মূলনীতির আলোকে খোদা শব্দটি আল্লাহ তাআলার নাম হিসেবে বাংলা, ফার্সী, উর্দু, হিন্দিতে অনুবাদ হিসেবে বলাতে কোন সমস্যা নেই। কারণ খোদা শব্দটি ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের কোন ধর্মীয় শব্দ নয়। সেই সাথে এর দ্বারা আমরা কেবল আল্লাহকেই বুঝে থাকি। অন্য কোন সত্ত্বাকে বুঝি না।
পক্ষান্তরে বিষ্ণু অর্থ রব,এবং ব্রহ্মা অর্থ সৃষ্টিকর্তা হলেও এটা ইসলামি কোন শব্দ নয়। সেই সাথে এ শব্দ দু’টি হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতীক।
তাছাড়া হিন্দুদের ধর্মীয় গ্রন্থ অনুযায় বিষ্ণু এবং ব্রহ্মা এমন দেবতা যারা অনেকের মধ্যে অবতার হিসেবে নাজিল হয়েছে। যেমন রামায়ণের নায়ক রাম হল বিষ্ণুর অবতার। আর ব্রহ্মার অবতার হল কৃষ্ণ। এরা পরস্পর ঝগড়া করতো। মারামারি করতো। এসব বিশ্বাসের প্রতীক হল বিষ্ণু ও ব্রহ্মা।তাই এ শব্দে আল্লাহকে ডাকা জায়েজ নয়।
পক্ষান্তরে খোদা শব্দটি। এটা নিরেট ইসলামি শব্দ। এর দ্বারা অন্য কোন ধর্মকে বুঝায় না। বুঝায় না আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন সত্বাকেও। তাই আল্লাহ তাআলাকে “খোদা” বলে ডাকা জায়েজ আছে।